Subscribe:

হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে...(গল্প প্রতিযোগিতা, গল্প নং-৫)

ক্লাসের লাস্ট বেঞ্চে বসে ঝিমাচ্ছিল রাতুল।গতরাতে ভোর ৪টায় ঘুমিয়েছে।
মাঝেমাঝে এমনি..অকারণেই রাত জাগতে ইচ্ছা হয়।পাশের রুমে আড্ডা
চলছিল,ল্যাপটপে কোন একটা মুভি দেখছিল সবাই।তার নিজের রুমমেট সোহাগ,মাথা
ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে পড়ছিল..আর সে?


না পড়া,না আড্ডা..একদম কিছুই করছিল না বললে
অবশ্যি ভুল হবে..একটা কবিতার শেষ দুটো লাইন মেলাবার আপ্রান চেষ্টা
করছিল।কখনোবা জানলার ফাঁক দিয়ে উঁকি মারা চাঁদটাকে দেখছিল..কোন এক
বিচিত্র কারনে বিষন্নতা পেয়ে বসেছিল তাকে।

"জোস্নার নীলে তুমি
স্মৃতিভেজা মন
ভোর ঠেলে জেগে ওঠা
অবুঝ স্বপন
তুমি আছ,তুমি নেই
হয়তো আছ..
এই ভুলে থাকাতেই!"

-বেঞ্চের মধ্যে কি লিখিস এইগুলা?
সোহাগের ডাকে সম্বিত ফিরে পেল রাতুল।মৃদু হেসে বলল,
-কিছুনারে,মাঝেমাঝে শব্দ নিয়ে খেলতে ইচ্ছা করে।
-শব্দ নিয়ে খেলা..সেইটা আবার কি?তোর কথাবার্তায় তো প্রচন্ড কবিভাব দেখা যাচ্ছে!
-আরে ধুত্তোর..আমি কেন কবি হতে যাব?আমি হলাম বিশুদ্ধ ফাঁকিবাজ,আর এইসব হল
আমার এসকেপ রুট!
-তুই ফাঁকিবাজ,না?তাইলে প্রফ এ প্লেইস করছিল কে?তখন কিন্তু তুই কিছুটা
হলেও পড়াশোনা করতি..
-ঐ দেখবি,বড় কোন পরীক্ষা আসলে ঠিকই আবার দরজা-জানলা বন্ধ করে পড়তে বসে যাব।
-বুঝলাম।তা,লেকচারটা অন্তত তোল..
-তোর থেকে ফটোকপি নিয়ে নিব দোস্ত।এখন একটু ঘুমাতে দে..সামনের বেঞ্চে ঐটা কেরে?
-আসাদ।
-ঐ আসাদ,পিঠ টানটান করে সোজা হয়ে বস,তোর আড়ালে বসে আমি একটা মিনি ঘুম দিয়ে নেই..

ঘাড় ফিরিয়ে,ম্যাডামকে দেখিয়ে স্বভাবসুলভ ভঙ্গীতে বলল আসাদ-ক্যান
মামু?লেকচার না তোল একটু চাইয়া চাইয়া দেখবার তো পার।'মাল'টা কিন্তু
জব্বর..বেশী হইলে আমগো ১০বছরের সিনিয়ার হইব।তুমি তো আবার কবিতা লেখ,এইসব
'জিনিস' মিস করলে কি..

চট্ করে মাথায় রক্ত ওঠে গেল রাতুলের..-তোর বড় বোনও কিন্তু উনার বয়সেরই
হবে।এতোসব সুন্দর সম্বোধন কি উনার সামনেই করিস,না এভাবে..আড়ালে?
-শালা,তুই আমার বোনরে নিয়া..
-ও...নিজের বোনরে নিয়ে কিচ্ছু বললে তখন গায়ে লাগে।না?
রাতুলের গলার আওয়াজ বোধয় একটু বেশীই বেড়ে গিয়েছিল।ম্যাডাম দাঁড়া
করালেন.."এই ছেলে,তুমি ক্লাসে বসে এভাবে চিত্‍কার করে করে কি
বলছিলে?চুপচাপ ক্লাস করবা আর ভাল না লাগলে চলে যাবা।ব্যাস.."
তখনো রাগে হাত পা কাঁপছে রাতুলের..স্রেফ মাথা নীচু করে বলল"আপনার ক্লাস
আমাদের অনেক ভাল লাগে ম্যাম..কিন্তু আজকের জন্য-I am sorry"তারপর ব্যাগটা
নিয়ে নিঃশব্দে বেড়িয়ে এল কতগুলো অবাক চোখের সামনে দিয়ে।


¤¤এখন গন্তব্য ক্যান্টিন।মাথা ঠান্ডা করার জন্য ২কাপ স্ট্রং কফি চাই
তার..এক্ষুনি।নিজের রাগ সম্বন্ধে ভালই জানে সে।একবার আউটবার্স্ট করলে
যথেষ্ট সময় লাগে নরমাল হতে..প্রতিবার ভাবে এভাবে মাথা গরম করবেনা,কিন্তু
চোখে অন্যায় ঠেকলে চুপ করে খাকতেও তো পারেনা।অনেকে বলে,বেশী ট্যালেন্ট
তো,তাই ভাব মারে।কিসের ট্যালেন্ট!কয়েকবার প্লেইস করে,ছন্দছাড়া ২/১টা
কবিতা লিখে আর ভাঙা গলায় গীটার হাতে স্টেজে উঠে গিয়েই নিজেকে সুপেরিয়র
ভাববে?-এতোটা বোকাও নয় রাতুল!
মুডি,খ্যাপা,পার্ট নেয়..এতোসব খেতাব তার!আসলেই কি সে এমন?মাঝেমাঝে
নিজেকে,নিজের জীবনটাকে বড্ড অগোছাল মনে হয়..মনে হয়,নিজেকে সামলানো আদৌ
তার কম্ম নয়।অলস ভাবনায় জর্জরিত বিষন্নপুরীটা তেড়ে আসে যেন-বন্ধ জানলাটা
খোলা আকাশ খোঁজে।ভীষণ একা আর মুডি-মনটা হাঁসফাঁস করে।মন চায়..
কেউ তাকে ভালোবাসুক..


¤¤"ভাইয়া ট্যাকা দেন"-শার্টের হাতা ধরে ঝুলে আছে জামাল।বয়স ৭/৮,তাদের
ক্যান্টিনের আশেপাশেই ঘুরঘুর করে সারাখন,স্টুডেন্টদের কাছে টাকা
চায়,ছেলেমেয়েরা দেয়ও..সবসময় দেখতে দেখতে এই ক্যাম্পাসেরই একটা অংশ হয়ে
গেছে যেন।কিন্তু এভাবে টাকা দেয়ার ব্যাপারটা চরম অপছন্দ রাতুলের-ছোটবেলা
থেকেই ভিক্ষা করা শিখে গেলে,বড় হয়েও হয় ভিক্ষা করবে,নয়তো
চুরি-ডাকাতি..একদিন জিজ্ঞেস করেছিল-এই তোর বাবা কি করে রে?
-হাসপাতাল গেইটে ভিক্ষা করে।
-বাহ বাহ,ফ্যামিলি বিজনেস দেখা যাচ্ছে!শোন তুই এবার একটু অন্য লাইনে
চল,তোকে ইস্কুলে ভর্তি করায়ে দিই।পয়সা লাগবেনা,চল..
একগাল হাসিমুখে জামালের উত্তর ছিল-ইস্কুল ভাল্লাগেনা ভাইজান,তয় ভিক্ষা
করতে ভাল্লাগে...

আজো শার্টের কোণা ধরে অলমোস্ট ঝুলে আছে জামাল,মুখে হাসি -দেননা ট্যাকা..
-এক চড়ে তোর সব দাঁত ফেলে দিব শয়তান ছেলে..পড়াশোনা করবেনা,ভিক্ষা
করবে..টাকা দেন..মামাবাড়ীর আবদার আরকি,আর কোনদিন যদি তোরে দেখসি এই
ক্যাম্পাসে..

রাতুলের চিত্‍কারে আশেপাশের সবাই ঘুরে ঘুরে তাকাচ্ছিল।জামাল চোখ বড় বড়
করে কতক্ষণ তাকিয়ে থেকে,এক ছুটে পালাল..
সম্বিত ফিরে পেল রাতুল..এতো রিঅ্যাক্ট করার কি দরকার ছিল?এদ্দুর একটা
ছেলে..টাকা নাই বলেই তো কাটিয়ে দিতে পারত।বিরক্ত মুখে ক্যান্টিনে গিয়ে
বসল ও।যোহরের নামাযটা বোধয় ক্বাযা হয়ে যাবে..পারতোপক্ষে নামায ক্বাযা
করেনা ও।কিন্তু আজ?দিনটাই কেমন যেন উল্টাপুল্টা যাচ্ছে।একটা কফির অর্ডার
দিয়ে কপালে ৪/৫টা ভাঁজ ঝুলিয়ে,পকেট থেকে মোবাইলটা বের করল..ফোন সাইলেন্ট
ছিল..৫টা মিসডকল..অপরিচিত নাম্বার।কলব্যাক করতে গিয়েও করলনা।
গত অক্টোবর থেকে ক্লাস নেয় একটা কোচিংএ..১মাসের মধ্যেই উল্টাপাল্টা কল
আসা শুরু হল-"ভাইয়া,মেডিকেলে ভর্তির কিছু টিপস দেননা..ভাইয়া,আপনার সাথে
ফ্রেন্ডশিপ করব..ভাইয়া,আপনি নাকি সিঙ্গেল.."চারপাশ থেকে ফিকফিক হাসির
শব্দ..
আগে ভাবতো,শুধু ছেলেরাই ফোনে মেয়েদের ডিসটার্ব করে।কিন্তু না..কেউই আর
কারো চেয়ে পিছায়ে নাই আজকাল!


¤¤রাতের ঘুমটা বিকালে পুষিয়ে নেয়ার বৃথা চেষ্টায় ছিল,আবার আসল সেই
কল..কাঁচা ঘুম ভেঙে যাওয়ায় রেগেমেগে ফোন অফ করে শুয়ে পড়ল রাতুল।তারপর
সন্ধায়,মাগরিবের নামাযের সময়-আবার..ধরতে যাবে,গেল কেটে..কি মুশকিল!!

রাতে সে নিজেই ফোন করল,অন্য নাম্বার থেকে।ওপাশে একটা মেয়ে কন্ঠ -হ্যালো..
রাতুল -এটা কার নাম্বার জানতে পারি?
-আশ্চর্য আপনি ফোন করছেন,আপনি জানেন না যে কাকে..
কথা বন্ধ।এক সেকেন্ড নিরবতা।তারপরই লাইনটা কেটে গেল।
"আজব মুসিবতে পড়লাম।কে এইটা!!"-আপনমনে বিড়বিড় করল রাতুল।



¤¤-Happy Valentine's Day..
অবশেষে,রাত ১২টায় কথা বলে উঠল সেই অপরিচিতা।
তিরীক্ষি মেজাজে কথা শুরু করল রাতুল-কে আপনি??
আজকে সকাল থেকে কল দিয়ে যাচ্ছেন।ধরতে গেলে কেটে দেন..পরিচয় জানতে চাইলে
কেটে দেন..আগে নিজে decide করেন,কথা বলতে চান কি চাননা।
আমতা আমতা করে জবাব আসল ওপাশ থেকে-সন্ধায় কল করছিলাম..তখন আযান পড়ল..পরে
আবার আপনি অন্য নাম্বার থেকে কল করলেন..তখন..
-ও আচ্ছা,আপনি আমার ভয়েসও চেনেন..
-না,মানে..
-কে আপনি?কি জন্য ফোন করছেন?চটপট বলেন..ফালতু কথা বলার সময় আমার একদম নাই।
-দেখেন,আমি আসলে আমার পরিচয়টা বলতে চাচ্ছিনা।শুধু কয়েকটা কথা বলেই রেখে
দিব।আপনি একটু সিরিয়াসলি শুনেন..
-সিরিয়াসলিই কিন্তু মানুষ এই ফাজলামী গুলা করে।এই যে আপনার মত
মেয়েরা..নাকি তুমি বলব,কোন ক্লাসে পড় তুমি?পড়াশোনা ফেলে,রাত দুপুরে
মানুষকে ডিসটার্ব করতে খুব ভাল লাগে..না?
-দেখেন্,আপনি আমার কথাটা শুনেন..
-শোন মেয়ে,অচেনা মেয়েদের সাথে ফোনে ফ্রেন্ডশীপ..আর লুতুপুতু টাইপ কথা বলা
বা শোনা,কোনটারই ইচ্ছা আমার নাই।আমি সিওর ওইখানে আরো কয়েকজন বসে আছে-আমার
প্রতিটা কথা নিয়ে গবেষনা হচ্ছে..হাসাহাসি হচ্ছে..
-আশ্চর্য!কিছু না বুঝেই আপনি শুধু চিত্‍কার করে যাচ্ছেন..
-হ্যাঁ আমি এমনই।rude,moody..so called 'friendship' করার মত
কেউনা..এতোক্ষনে নিশ্চই বুঝে গেছেন।আর আপনাদের মত থার্ড ক্লাস মেয়েদের
সাথে তো...
-অন্নেক বলেছেন...
এইবার চুপ করেন।আমি থার্ড ক্লাস..কি দেখে বুঝলেন আপনি?কয়েকবার ফোন করেছি
বলে..আপনি মাগরিবের নামায পড়বেন,তাই ফোন রেখে দিয়েছি বলে..নাকি unknown
নাম্বারে হঠাত্‍ আপনার ভয়েস শুনে নার্ভাস হয়ে গেছি বলে?হ্যাঁ,আমি নার্ভাস
ছিলাম-কারণ...কারণ আমি আপনাকে ভালোবাসি।
গত দুই বছর ধরে।যেদিন প্রথম এই ক্যাম্পাসে এসছি সেইদিন থেকে..love at
first sight এ আমি বিশ্বাস করিনা,তবুও সেটা ফীল্ করেছি..প্রোগ্রামে গাওয়া
আপনার প্রতিটা গান রেকর্ড করে প্রতিদিন শুনেছি।
আর..আর জামালকে প্রতি শুক্রবার ক্যান্টিন থেকে যে পোলাও কোর্মা খাওয়ানো
হয়,তার টাকা কে দেয় সেটাও জানা আছে আমার..
এক নিঃশ্বাসে বলে গেল মেয়েটা।
-আমি..
-হ্যাঁ আপনি আপনার ১বছর জুনিয়ার থার্ড ক্লাস এই মেয়েটাকে চিনে ফেলতে
পারেন ভেবে পরিচয় দিতে চাচ্ছিলাম না।এই সিমটা আজই কিনে এনেছি..নিজের সাথে
যুদ্ধ করে..পরিচয় লুকিয়ে হলেও আপনাকে জানাতে চেয়েছিলাম-একটা বোকা মেয়ে
কোন এক বিচিত্র কারণে প্রায় রাতেই আপনাকে স্বপ্নে দেখে।আপনি তার হাত ধরে
আছেন..গল্প করছেন-এইসব দেখে...আমি না আসলেই থার্ড ক্লাস!বাসা থেকে বিয়ের
চাপ আসায় বাধ্য হয়ে,এমন হতে হয়েছে আমাকে।শেষ জীবনে যেন আপসোস করতে
নাহয়-আমার ভালোবাসাকে একটিবারের জন্যেও সুযোগ দেইনি আমি..শুধু সেই
গ্লানিটুকু মুছে ফেলার জন্য আজ থার্ড ক্লাস হয়েছি।..আপনি কি বোঝেন-একটা
ইন্ট্রোভার্ট,বোকাসোকা আর ঘোমটার আড়ালে থাকা মেয়েকে কতটা সাহস সঞ্চয়
করে..নিজের সাথে কতটা যুদ্ধ করে,আগ বাড়িয়ে বলতে হয়-
'Happy Valentine's Day'..
-আ..আমি আসলে..
-হয়তো আপনি অনেক বড় মাপের,মাল্টিট্যালেন্টেড একটা ছেলে-কিন্তু ভালোবাসা
না হোক,ভাল ব্যবহারটা অন্তত শিখে নেবেন।

লাইনটা কেটে গেল..একটু পর,কল করল রাতুল।কিন্তু..switched off.


¤¤পরদিন,১৪ফেব্রুয়ারী..কলেজ ক্যান্টিন..

-মামা,সিঙ্গারা আর চা..কত হইছে..সিঙ্গারায় এতো তেল দেন কেন মামা? আরে জামাল..
-আপামনি,টাকা দেন..
হাসিমুখে হাত বাড়ায় জামাল।
-টাকা তো দেয়া যাবেনা..এইটা নাও।
-এইটা কি?
-বাংলা বর্ণমালার বই।
-ইস্কুল যামুনাতো..
-যাইসনা..আগে আমার কাছে পড়্..এই বইটা না অন্নেক মজার..দেখ্ কত রং,কত
সুন্দর সুন্দর ছবি..সুন্দর না?
-হু..
দুইহাতে বইটা আগলে ধরে জামাল..
-শোন্,মাঝেমাঝে ক্যান্টিনে বসবি আমার সাথে..দেখবি..গল্প করতে করতে কত্ত
কিছু শিখে গেছিস।আর যেদিন পড়তে ভাল্লাগবেনা সেদিন চকলেট খেয়ে ছুটি!কিরে
পড়বিনা?
-আইচ্ছা..

জামালের হাসি হাসি মুখ ছাপিয়ে রাতুলের চোখ এখন পাশে দাঁড়ানো মেয়েটার
দিকে।ক্যান্টিনের এক কোনায় বসে বসে এতোক্ষণ এই দুজনের কথাই শুনছিল সে,কান
খাড়া করে!ওরা দেখেনি ওকে..
গলার আওয়াজটা এতো চেনা চেনা..তাহলে কি?..
কি যেন হয়ে গেল রাতুলের..উঠে দাঁড়ালো,জিজ্ঞেস করবে।ভুল হলে ভুল..

রাতুল আসছে..মেয়েটা দেখল।নিমিষে এক্সপ্রেসন চেন্জড..মুখটা সাদা হয়ে
গেছে..দুই পা পিছিয়ে গেল মেয়েটা..ব্যাগ থেকে টাকা বের করছে,হাত
কাঁপছে..দেখে মুচকি হাসল রাতুল..নার্ভাস!..
তারপর সোজা ওর সামনে গিয়ে বলল-
Happy Valentine's Day!
-জ্বী..?
-আমি একটা থার্ড ক্লাস আর বদমেজাজী ছেলে।আমার সাথে এক কাপ কফি খাবেন?
-মা..মানে?
একটুসময় চুপ করে থেকে বলল রাতুল-কি..এখনো নার্ভাস?..


রাতুলের চোখেমুথে দুষ্টুমী..চোখ তুলল অপরিচিতা..আর ছোট্ট ঘোমটার আড়ালে
লাজুক মুখটায় কোথা থেকে উঁকি দিয়ে গেল একটা মিষ্টি হাসি...


(রাহনুমা কুমকুম)

1 comment: