Subscribe:

রাহাত বাবুটিং এবং একজন মায়াবতী

আমার একটা খুবই গোটলা পোটলা ছোট্ট ভাই আছে , ওকে যে আমি কতোটা ভালবাসি সেটা আসলে বলা সম্ভব নয় ! আমার রাহাত বাবু ভাইটা একটু একটু করে কথা বলত , একটু একটু করে হাসতো ! সেই একটু একটু কথা বলা ভাইটা হঠাৎ করে একদিন অনেক বড় হয়ে গেল ! অনেক মানে অনেএএএএক ! অনেএএএএএএক বেশি বড় ! আমি প্রথমে একটু অবাক হলাম , তারপরে মজা পেলাম , তারপরে. . . . তার আর পর আসলে নাই !



যাই হোক আমার এতোটুকু ভাইটা একটু একটু করেই যখন বড় হচ্ছিল প্রথমে আমি ভেবেছিলাম আমার চোখে মনে হয় ধান্দা লেগেছে , পরে ভাবলাম বোঝার ভুল পর দেখি নাহ সবই ঠিক আছে ! 



আমার ভাইটা ফেসবুকে বড়ই রোমান্টিক রোমান্টিক স্ট্যাটাস মারে , ফোনে খুব ভাব ভালবাসার গান শুনে আর চোখে মুখে একটা উদাস উদাস ভাব এনে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে  !


এরপর একদিন মনে হয় টিকতে না পেরেই আমাকে বলল , দিদি তুই জানিস আমার কি হয়েছে !


আমিও খুব ভাব নিয়েই বললাম , না জানার কি আছে ? কলেজে উঠলে ওরকম সবার ই একটু আধটু হয় , বয়সের দোষ সব ঠিক হয়ে যাবে !


আমার ভাইটা মুখ ঝামটা মেরে বলে , কচু বয়সের দোষ ! আমি সেই স্কুল থেকে হৈমন্তীকে পছন্দ করি ! এইটা মোটেও বয়সের দোষ না , এইটা হল পিওর লাভ !


আমি ভেতরে ভেতরে হাসিতে ফেটে পড়লেও ওর সামনে চোখ গরম করে বলি এই মেয়েটা কে ? যেইটা ফেসবুকে তোকে খুব ন্যাকা ন্যাকা ওয়াল পোস্ট দেয় ঐ মেয়ে টা ?



রাহাত মুখ কাঁচুমাচু করে বলে , তুই সারাদিন আমার ওয়াল দেখিস কেন ? একদম ব্লক মেরে দিবো !



এবার হৈমন্তীর কথায় আসা যাক , সত্যি বলছি , এতোটুকু বয়সের একটা মেয়ে এরকম ম্যাচিওরিটি দেখাতে পারে তা ওর সাথে কথা না বললে আমি কোনদিন ই বুঝতাম না এবং সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে এই মেয়ে একবারে আগেরকার রাজকন্যাদের মতো একদম সর্বগুনে গুনান্বিত । এতটুকু একটা মেয়ে... ফ্যামিলির প্রতিটা মানুষ এর যতখানি দরকার, তার সবকিছুই দেয়ার জন্যে এক পায়ে খাড়া... আমি বা আমার মত অনেকেই আছে যাদের কাজের নাম শুনলে সাতবার জ্বর আসে অথচ এই মেয়ে পড়ালেখা , ঘরের কাজ-কর্ম সব দিক থেকেই একবারে একশ তে একশ ! ওর কথা বলাতেও একটা অদ্ভুত সৌন্দর্য্য আছে ! অর্থাত্‍ আমার ভাইয়ের পছন্দ খুবই ভাল , যাকে বলে একদম পার্ফেক্ট ! 



এত্তো মায়াবতী একটা মেয়ে যে চব্বিশটা ঘন্টাই আমার ভাইটার সর্বোচ্চ টেক কেয়ার করে তাকে আমি আর কেমন করে ধন্যবাদ দিবো ? এতোটুকুই বলতে পারি আমার খুব পছন্দের এই জোড়াকে হৃদয় থেকে খুব করে শুভকামনা ! আর বলতে পারি এক জীবনের সমস্ত আশির্বাদ তোদের দিলাম ভাই । এই নব্য কপোত-কপোতিকে যখন বাকবাকুম করতে দেখি নিজের অজান্তেই মনটা ভাল হয়ে যায়... চোখের সামনে নতুন স্বপ্ন বুনতে থাকা মানুষ দুইটার ভাল লাগা আমাকেও স্পর্শ করে যায়.....


দেখে নিস তোরা সুখী হবি , খুব সুখী ।(লেখিকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)

No comments:

Post a Comment