Subscribe:

আমার প্রেমিকারা - আপাত শেষ পর্ব

বন্ধু চান্দু (কোম্পানি ছায়াছবির নায়ক বিবেক ওবেরয় নহে, বাস্তবে উহার নাম চাঁদ) মনে হয় প্রেমে পড়িয়াছে। সে এক ভয়াবহ অবস্থা। বেচারা সারাক্ষণ উদাস হইয়া থাকে। আড্ডায় বসিয়া আমাদের লাগাম ছাড়া গল্প আর রাজ্যের খিস্তি খেউরের বদলে কলেজ মাঠে প্রজাপতির উড়াউড়ি দেখিতেই উহার মনোযোগ বেশী। আমাদের সঙ্গে থাকিয়াও যেন সে এই স্থানে নাই। কাহাতক আর সহ্য করা যায়। একদা উহাকে ধরলা নাদীর পাড়ে তুলিয়া লইয়া গিয়া ভাঙ্গা একখানি নৌকার উপর বসাইয়া শুধাইলাম তাহার সমস্যা কি?

ভেটকি মাছ ও কানা বেড়ালের গল্প

এক ধরনের মানুষ আছে যারা কখনো কোনও কিছুতে কথা বলেনা, যারা জানে অন্যের সমস্যায় নাক গলিয়ে লাভ নেই। আর এক ধরনের মানুষ আছে যাদের সবার ব্যাপারে শুধু নাক না,পুরো শরীর গলানোর বিশ্রী অভ্যাস আছে। তারা এও বুঝেনা যে এইসব দেখলে রাগে গাটা জ্বলতে থাকে। আশিক দ্বিতীয় দলের মানুষ।

ভেটকি মাছ আর কানা বেড়ালের শুভ বিবাহ (২)

''আফা,হেই ব্যাটা এমনে শু কইরা উপর থেইক্কা লাফ দিল কেমনে? হে কি বান্দর নাকি?''
জেসমিনের প্রশ্নের আমি কি জবাব দিব বুঝতে পারলাম না। টোয়াইলাইট দেখছিলাম খুব মনোযোগ দিয়ে। [আজকাল আমি একশান মুভি বাদ দিয়ে ভালবাসায় পরিপূর্ণ মুভি দেখতে বেশী উৎসাহ বোধ করছি। প্রেম ভালবাসা জিনিসটা বড়ই ছোঁয়াচে,এসব দেখে আমার চোখ জলে টলটল করে!]

বৃষ্টিকথন

আমি প্রাণপন চেষ্টা করছি, আমার চোখে যেন পানি না আসে। বৃষ্টি নামের সার্থকতা বজায় রাখার জন্য হুটহাট চোখে বর্ষন ঘটানো আমার ভীষন অপছন্দের একটা কাজ। তাছাড়া এত তুচ্ছ ব্যপারে বসে বসে কান্না করার মত বাড়তি সময়ও আমার নেই। কিন্তু একটু আগে যে ঘটনাটা ঘটলো সেটা মনে করেই আমার গা রি রি করছে। মামী সুযোগ পেলেই আমাকে এভাবে অপমান করে। মাঝে মাঝে মনে হয় এখানে না থেকে কারো বাসায় কাজটাজ করে খাই। এমনিতেও এ বাসায় আমি বুয়া ছাড়া আর কিছুই না। কিন্তু আমার সব ইচ্ছার মত এই ইচ্ছাটাও আমি বুকে চেঁপে রাখি। এটা অবশ্য ভয়ংকর ধরনের ইচ্ছা, তবে আমার অনেক নিরীহ ইচ্ছাও আমাকে বুকে চেঁপে রাখতে হয়।

স্বপ্নীল নরক

-"উফ্‌...ওই পোলা এইভাবে মায়ের পেডে কেউ লাত্থি মারে? মায়ের বুঝি কষ্ট লাগে না?"

গভীর মমতায় নিজের ফুলে ওঠা পেটে হাত বুলাতে বুলাতে কথাগুলো বলে কুসুম।মুখে একটা প্রশ্রয়ের ভাব নিয়ে কান খাড়া করে অপলক চোখে তাকিয়ে থাকে তার পেটের দিকে।তার গর্ভের সন্তান কি বলে তা শোনার জন্য।এটা তার একটা খেলা।গত ক'মাস ধরে সে নিয়মিত এই খেলা খেলে আসছে।সে আপন মনে তার ছেলের সাথে কথা বলে।তার ছেলেও তার সাথে কথা বলে।কুসুম এখনও উৎসুক চোখে তাকিয়ে আছে তার ছেলের মুখ থেকে কিছু শোনার জন্য।
কোন উত্তর পায় না সে।

ব্যস্ত জীবনে

আনিস সাহেব বসে আছেন তাঁর মেয়ে সাদিয়ার ঘরে। শ্বশুড় বাড়ি। মেয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করায় গত এক বছর ধরে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। আজ এসেছেন। দীর্ঘ এক বছর মেয়ের ওপর রাগ ধরে রেখেছিলেন। ভেবেছিলেন জীবনের বাকি ক’টা দিনও না দেখে পার করে দিতে পারবেন। কিন্তু শেষ মেষ আর পারলেন না।

একটু একটু ভাল লাগা... তারপর শুধুই ভালবাসা

কলেজের প্রথম বছর ছিল… পরিচয় হল… বন্ধুত্ব হলো… ভাল লাগলো… তারপর প্রেম নিবেদন…
তারপর শুধুই ভালবাসা| নাহ্! এত নিরামিষ ছিল না আমাদের গল্প| এত নিরামিষ হলে
হয়তো এভাবে সাতটা বছর পার করে দিতে পারতাম না দুজনে|