Subscribe:

~~ ভালবাসা জেগে রয় ~~

জানালাটা খুলে দিয়ে বাইরে চোখ রাখলাম।অন্ধকার এখনো কাটেনি ।শহরটা এখনো ঘুমিয়ে । সূর্য সবে আড়মোড়া ভাঙছে । হু হু করে একদমক ঠাণ্ডা হাওয়া বয়ে গেলো । গায়ের শালটাকে আর একটু জড়িয়ে নিলাম ভালো করে ।মনে পরে গেল,সেদিনটাও এমন ছিল।আমার সামনে থেকে আস্তে আস্তে মুছে গেলো ওপারের রাস্তাটা,আশেপাশের শহুরে বাড়িগুলো,এমনকি জানালার পাশের আম গাছটাও ।

মেঘ নেমে এলো সোনা ঝরা রোদ্দুরে !

আজ খুব খুশি খুশি লাগছে অনন্তকে। সকাল সকাল ঘুম ভেঙ্গে গেছে খুশিতে। এমনিতে বেলা এগারোটার আগে বিছানা থেকে উঠা হয়না। সকালের নাস্তা দেরীতে করার জন্য প্রতিদিন মায়ের অনেক বকা শুনতে হয়। কিন্তু আজ খুব সকালেই উঠতে হলো। কতদিন পর সকালের লাল সূর্যটা দেখা গেছে! কতদিন ঠিক মনে পড়েনা। মনে পড়ে শৈশবে গ্রামে থাকা অবস্থায় মক্তবে যাওয়ার জন্য প্রতিদিনই খুব সকালে উঠতে হত। কি যে বিরক্তিকর ছিলো ওই জাগরণ।

জল শাড়ী

"বৃষ্টির জলে খুঁজিতেছি আমি আমার সকল সুখ দেখিতে পাই না কিংবা চাই না জলে ভিজে থাকা দুখ" আমার মা রহিমা খাতুন-রহিমা খালা হিসেবেই যিনি কর্মক্ষেত্রে সবার নিকট পরিচিত।বছর পাঁচেক আগ পর্যন্ত অবশ্য শুধুই রহিমা ছিলেন,কিন্তু বয়স এবং ছেলেকে মানুষ করা-এই দুয়ের ভারে সময়ের আগেই যেদিন থেকে চুলে হালকা পাক ধরা শুরু হলো,হাতের চামড়া কুচকে যেতে লাগল,গাল বসে যেতে লাগল,সেদিন থকেই তিনি "রহিমা" থেকে "রহিমা খালা"তে রুপান্তর হতে লাগলেন।

ঝগড়া এবং প্রেম... মাধ্যম একটি গোলাপি ছাতা

নীলক্ষেতের মোরে রিক্সা থেকে নামতেই ভিজে চুপসে গেলাম, মাথা ও শরীরে আকাশ হতে নিক্ষিপ্ত বরফের অত্যাচার। এ তো ভয়ংকর বৃষ্টিরে বাবা। মোবাইলটা কোনও মতে পকেটে চালান দিয়ে ভোঁ দৌড় মারলাম, গন্তব্য সামনের দোকান গুলোর কোনও চিপা, যার উপর দিয়ে ওই মেঘঘন আকাশটা দেখা যায় না। দৌড়াচ্ছি আর আশেপাশের চিপাগুলো দেখছি, মানুষে টাঁসা, শালা এই দেশের জনসংখ্যা এতো বেশি কেন, ছোটবেলায় পড়েছিলাম...

মা'কে লেখা খোলাচিঠি

আমার লক্ষ্মী মা,

জানি এই চিঠি তোমার কাছে পৌঁছাবেনা। তবুও কেন জানি খুব লিখতে ইচ্ছে করছে। মনের দুঃখ মনে চেপে রাখলে কষ্ট নাকি বেড়ে যায়। তাই তো আমি তোমার কাছে চিঠি লিখে আমার মনটাকে হালকা করার চেষ্টা করছি।  আজ তোমাকে খুব দেখার ইচ্ছে হচ্ছে। তোমাকে খুব বেশী মনে পড়ছে, আর নিজেকে অনেক বেশি অভাগা মনে হচ্ছে।

একটি সাধারণ স্বপ্ন...

আমার একটা স্বপ্ন ছিল, খুব সাধারণ একটা স্বপ্ন । স্বল্প আয়ের একটা চাকরি, ছোট্ট একটা ঘর, অল্প সুন্দরী মায়াবতী  একজন স্ত্রী, ছোট্ট একটা ছেলে অথবা মেয়ে ।

আমার সন্তান...সরি, আমার সন্তান বললে আবার বাচ্চার মা রাগ করতে পারে !

আমাদের সন্তান একটু একটু করে বড় হবে আর আমি তাকে একটু একটু করে জীবন শেখাবো ।

পেসমেকার

অফিসে আজকে প্রচন্ড ব্যস্ততা। ডেলিভারী আছে। ঘড়িতে বাজে আটটা ত্রিশ। আমার পুরো টিম এখনো অফিসে। রকি আর আমি ডেলিভারী দিচ্ছি, বাকী পোলাপান পুলরুমে। এই সময় মোবাইল ভাইব্রেট করল, মেসেজ আসছে। নির্ঘাত বাংলালিংকের মেসেজ। ধুর শালা, চরম বিরক্ত হয়ে মোবাইল বের করে দেখি, “আই ওয়ান্না চ্যাট উইথ ইউ, আর ইউ ফ্রি? – সামান্থা।” রক্তের মধ্যে কোথায় যেন একটা অ্যাডভেঞ্চারের নেশা জেগে উঠল।