Subscribe:

রৌদ্রালোকে-১

''দোস্ত দেখ দেখ,তোর নায়িকা আসছে।''

ধ্রুব চোখ গরম করে আতিকের দিকে তাকাল। এইসব ফাজলামি ও একদম পছন্দ করেনা। কখন কোন সময় কার সাথে একটু হাসি ঠাট্টা করেছিল...না,ঠিক করে বলতে গেলে একটু অ্যাফেয়ার টাইপেরই হয়ে গিয়েছিল সেগুলা নিয়ে এখন ভেবে লাভ কি?


মেয়ে গুলা শুধু শুধু ওর প্রতি দুর্বল হয়ে যায়,এতে ওর কি করার আছে? অবশ্য ও যে ব্যাপারটা উপভোগ করেনা তা না। তবে ও সবচেয়ে বেশী এনজয় করে ওর বন্ধুদের হিংসা। ওর চেয়ে দেখতে ভাল,পড়ালেখায় ভালো এমন ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা কেন যেন ওকেই বেশী পছন্দ করে। ধ্রুব জানে কারণটা ওর ব্যাক্তিত্ত। আর যাই হোক ধ্রুব ছেঁচড়া না। সে কখনও গায়ে পড়ে মেয়েদের সাথে কথা বলেনা। আর কখনও সে নিজের লিমিট ক্রস করেনি।

''life goes on,and u have to move on'' এই হল ধ্রুব'র পিক আপ লাইন। ভার্সিটি লাইফে এসে মানুষ একটু আধটু প্রেম করেই। কিন্তু ধ্রুবর কথা হল ''আমাকে আমার বাবা মায়ের চেয়ে বেশী ভালো কেউ চিনেনা। একমাত্র তারাই পারে আমার মত শয়তানের জন্য পারফেক্ট শয়তানী খুঁজতে। তো আমি এত কষ্ট করবো কেন?'' মজার ব্যাপার হল যেসব মেয়ে ধ্রুবর প্রেমে পড়ে তারা এসব জানে। জেনেও ওরা কেন যেন নিজেদের আটকে রাখতে পারেনা।

 

''মেয়েটা এত সুন্দর!! সত্যি করে বলতো তোর ওকেও ভালো লাগেনা?'' আতিকের সন্দেহ মাখা প্রশ্ন। ধ্রুব মনে মনে হাসে।

''ওর চেহারা ভালো বলে ওকে ভালো লাগতে হবে?''

''না কিন্তু প্রথমে তো সেটাই দেখে মানুষ''

ধ্রুব আবার নিতুর দিকে তাকাল। আসলেই অনেক সুন্দর নিতু। অনেকেই ওর জন্য পাগল। কিন্তু নিতু ওদের দিকে ফিরেও তাকায় না। মাঝের কয়েকটা মাস নিতুর সাথে অনেক ঘুরেছে ধ্রুব। নিতুকে ওর ভালও লাগে। কিন্তু শুধু বন্ধুর মত ভাললাগাতেই সেটা সীমিত। নিতু ওকে পছন্দ করে এটা সে জানত। কিন্তু ভেবেছিল ও বুদ্ধিমতী মেয়ে,ঠিক সামলে নিবে। কিন্তু নিতু পারেনি। এবং অবধারিত ভাবে ওদের বন্ধুত্তেরও ওখানেই ইতি ঘটেছে। ধ্রুবর খারাপ লাগে কিছুটা,নিতু বন্ধু হিসেবে খুব ভালো ছিল। কেন যে বন্ধু হয়েই থাকতে পারলনা! নিতু এখন ওর সামনে এলে এমন ভাব করে যেন ওখানে ধ্রুবর কোনও অস্তিত্তই নেই। ধ্রুবও পারতপক্ষে ওর সামনে পড়েনা।

 

 ২.

ফ্যাকাল্টির সামনে ধ্রুবরা সবাই আড্ডা মারছে। আজকে ফার্স্ট ইয়ারের ওরিয়েনটেশন ক্লাস। আর ফার্স্ট ইয়ারের মেয়েদের দেখাও ওদের আরেকটা উদ্দেশ্য। কথা বলতে বলতেই ধ্রুব খেয়াল করলো ওদের থেকে একটু দূরে একটা মেয়ে অনেকক্ষণ ধরেই দাঁড়িয়ে আছে। প্রথমে ভেবেছিল নতুন তাই হয়ত বুঝতে পারছেনা কোথায় যেতে হবে। কিন্তু ফার্স্ট ইয়ারের সবাই ক্লাসে ঢুকে যাওয়ার পর ও মেয়েটা ওখানেই দাঁড়িয়ে আছে। ক্লাসের টাইম হওয়াতে ওরা ক্লাসের দিকে যাচ্ছিল। কি ভেবে ধ্রুব মেয়েটার সামনে এসে জানতে চাইল '' আপনি ফার্স্ট ইয়ারে পড়েন?''

''আমাকে বলছেন?''

এটা কি ধরনের কথা হল? তোমাকে না বলে কি ভুতকে বললাম নাকি? যত্তসব ন্যাকামি। বিরক্তি চেপেই ধ্রুব আবার বলল ''হ্যাঁ,আপনাকেই বলছি''

''আমি তো সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি''

''ও ,কোন ডিপার্টমেন্ট?''

''এখানেই''

ধ্রুব একটু অবাক হল। ও আগে মেয়েটাকে দেখেছে বলে মনে হয়না।

''ক্লাস নেই? এখানে দাঁড়িয়ে আছ যে?''

''আমার ফ্রেন্ডরা আসবে,ওদের জন্য অপেক্ষা করছি''

''ও,কি নাম তোমার?'' ধ্রুব ভদ্রতা করে জিজ্ঞেস করলো।

''জী, তিতির'' একটু মাথা ঝাকিয়ে ধ্রুব সরে এল। ক্লাসের দেরি হয়ে যাচ্ছে।


এরপর প্রায় সময় তিতির সাথে করিডোরে দেখা হয় ধ্রুবর। কিন্তু দুজনে কোনও কথা বলেনা।

মাঝে একবার ধ্রুব দেখেছিল তিতির বাইরে দাঁড়িয়ে আছে, মুখ দেখে মনে হচ্ছিল অনেক চিন্তিত। তাই সে জানতে চেয়েছিল সমস্যা কি। প্রথমে একটু ইতস্তত করে তিতির বলেছিল ওর একটা ইমারজেন্সি কল করা দরকার। কিন্তু ওই মুহূর্তে মোবাইলে ব্যালান্স নেই। ধ্রুব নিজের সেলফোন বের করে দিয়ে বলেছিল ফোন করতে। তিতির করেনি। অথচ একটু পরেই ওর সামনে দিয়ে অন্য এক ফ্রেন্ড যাচ্ছিল,তাকে ডেকে মোবাইল চেয়ে নিল বেয়াদব মেয়েটা!!! এবং স্বাভাবিকভাবেই ধ্রুব এতে প্রচণ্ড অপমান ফিল করেছে। ও গেলো সাহায্য করতে আর ফাজিল মেয়ে কিনা ভাব দেখায়!! ভালো,দেখাক ভাব। ধ্রুব যেন থোড়াই কেয়ার করে। যেখানে অন্য মেয়েরা ওর সাথে কথা বলতে পারলে বর্তে চায় সেখানে এই মেয়ে ওকে দেমাগ দেখায়!! হাহ্...

এরপর থেকে তিতিরকে আর সহ্য করতে পারেনা ধ্রুব। মাঝে মাঝে নিজের উপরই রাগ লাগে ওর। মানুষের মন বড়ই আজব প্রকৃতির। যেখানে মেয়েরা বেশী কথা বলতে আসলে ওর বিরক্ত লাগে সেখানে তিতির ওকে পাত্তাও দিচ্ছেনা দেখে ধ্রুবর এত গায়ে লাগার কারন কি? পরে ওর মনে হয় ওর মেল ইগোই এর জন্য দায়ী। তারপরও ওর তিতির নামের মেয়েটার উপর থেকে রাগ কমলোনা। একদিন সেমিনারে ওর ফ্রেন্ড এর সাথে তিতিরকে হেসে  কথা বলতে দেখে ওর মনে হচ্ছিল এক থাপ্পর দিয়ে মেয়েটার দাত সব ফেলে দেয়। সবার সাথে হাসতে পারে কিন্তু ওর দিকে তাকালেই পেঁচার মতো মুখ হয়ে যায় মহারানীর। নবীন বরনের দিন তো  তিতিরের গান শুনে সবাই প্রসংশায় পঞ্চমুখ। মুখ তেঁতো করে ধ্রুব এটা স্বীকার করতে বাধ্য হল যে মেয়ে আসলেই ভালো গায়।

এভাবেই হয়তো দিন কেটে যেত। কিন্তু ভাগ্যবিধাতার মনে সম্ভবত অন্য কিছুই চলছিল।

 

 ৩.

বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিবে বলে মাত্র বাসা থেকে বের হয়েছে ধ্রুব। নিউ মার্কেটের সামনে এসে এদিক ওদিক রিক্সা খুঁজতে খুঁজতেই চোখ পড়লো ওদের দিকে। তিতির রিকশায় বসে আছে। খুব হেসে হেসে কথা বলছে । পাশে একটা ছেলে। তিতির ওকে খেয়াল করলনা অথবা হয়তো করেও না দেখার ভান করলো। আর ধ্রুবর হল মেজাজ খারাপ। যাই হোক,রিক্সা ঠিক করে রওনা দিল ধ্রুব। ফ্রেন্ড এর বাসায় গিয়ে দেখে যে সবাই এসে গেছে। ধ্রুবর মুখ গোমড়া দেখে আতিক জানতে চাইল কি হয়েছে। তিতিরের কথা বলল ধ্রুব। আতিক একটু অবাক হল মনে হয়

''ওকে দেখে তুই এত খেপলি ক্যান?''

''খেপব না? ওকে হাসতে দেখলে আমার মনে হয় দাঁত গুলা খুলে ফেলে দিই। পাশের ছেলেটা কেমন গাধার মতো হাসছিল ওর কথা শুনে,যেন জীবনে এত মজার কথা শুনেনাই''

''হয়তো ওর বয় ফ্রেন্ড ছিল। ওর কথা শুনে হাসবে নাতো কি তোর তোর কথা শুনে হাসবে ?''

আতিকের কথা শুনে ধ্রুব একটু থমকে গেলো

''বয় ফ্রেন্ড কেন হবে?''

''হবে না কেন সেটা বল্ ভাই! ভার্সিটি পড়ুয়া একটা মেয়ের অ্যাফেয়ার থাকতেই পারে। not a big deal''

কেন যেন ধ্রুবর কথাটা মানতে ইচ্ছা করলনা। ওর শুধুই এটাই মনে হচ্ছে যে ওই ছেলেটা তিতিরের বন্ধু হতে পারে,অথবা কাজিন...কিন্তু বয় ফ্রেন্ড শব্দটা মাথায় আসলেই ওর প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে। আর সাথে আরও কিছু অনুভব করছে। না মানতে চাইলেও ধ্রুব বুঝতে পারছে সেটা কি। ধ্রুবর হিংসা লাগছে। হিংসা!!! আর হিংসা কাকে লাগছে? রিক্সায় তিতিরের পাশে বসা গাধা ছেলেটাকে!!! কেন লাগছে? গাধা ছেলেটা বেয়াদব মেয়েটার বয় ফ্রেন্ড এটা ভেবে!!!

আড্ডার পুরোটা সময় ধ্রুবর আর মন  বসলোনা। বারসেলোনা আর রিয়েল মাদ্রিদ এর মধ্যে কে বেটার এটা নিয়ে যখন তুমুল তর্ক হচ্ছে তখনো ধ্রুব চুপ। এইমুহুরতে ওর মাথায় তর্ক চলছে ''ছেলেটা তিতিরের  বয় ফ্রেন্ড/ ছেলেটা তিতিরের বয় ফ্রেন্ড না''



৪.

দুদিন যাবত ধ্রুব বাসায় গুম ধরে বসে আছে। কোথাও যাচ্ছেনা। ওর শুধু একটা জায়গাতেই যেতে ইচ্ছা করে আর সেটা হল ক্যাম্পাস। আর কারনটাও ওর এখন আর অজানা না। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি,এ দুদিন ধ্রুব বসে বসে হিসেব করেছে তিতির ওর সাথে কয়বার কথা বলেছে,কয়বার ওর দিকে তাকিয়ে হেসেছে। সংখ্যাটা ওর মনঃপূত হচ্ছেনা। ফেসবুকে বসে তিতিরের প্রোফাইল বের করেছে। প্রাইভেসি দেয়া যদিও...প্রোফাইল পিক দেখা যায়। আর ওটা দেখেই ধ্রুবর মনে হল এতকিছুর মাঝে ও কখনও খেয়াল করেনি,তিতিরের চোখ অনেক সুন্দর। এই চোখের দিকে তাকিয়ে সে সারা জীবন কাটিয়ে দিতে পারে। এক অদ্ভুদ শিহরন বোধ করলো ধ্রুব। একেই কি ভালবাসা বলে?

নিজেকে পাগল পাগল লাগছে ধ্রুবর। কেন যেন খুব কষ্ট হচ্ছে বুকের মাঝে। প্রোফাইল পিক টা ডাউনলোড করলো সে। খুব যত্ন করে এডিট করে শুধু চোখ টা রাখল। ল্যাপটপে ডিসপ্লে দেয়ার পর ওর মনে হল যে হ্যাঁ এখন তিতির ওর কাছে আছে।

সাধারনত এই সময়ে বন্ধুরাই সবচেয়ে বেশী কাজে আসে। ধ্রুবর বেলায়ও এর কোন ব্যাতিক্রম হলনা। দুদিন ধ্রুবকে ভার্সিটিতে না পেয়ে দল বেধে সবাই ওর বাসায় হাজির। চানাচুর,চা আর গরম গরম শিঙ্গারা খেতে খেতে ওরা গম্ভীর মুখে সব শুনল। ল্যাপটপের ডিসপ্লেতে তিতিরের চোখের ছবি দেখে ওরা সিওর হল যে ধ্রুব ভালভাবেই প্রেমে পড়েছে। অনেক তর্ক বিতর্কের পর ধ্রুবর বন্ধুরা শপথ নিল যেভাবেই হোক,ধ্রুব তিতিরের মাঝে প্রেম ওরা ঘটাবেই। ওদের খুশী হবার আরেক পরোক্ষ কারন যদি ধ্রুব আসলেই তিতিরের সাথে সেটেল্ড হয়ে যায়,তাহলে অন্তত ওদের লাইন ক্লিয়ার হয়ে যাবে। যে মেয়েকেই ওরা পছন্দ করে ঘুরে ফিরে সবাই ধ্রুবর সাথেই টাঙ্কি মারে। ওর এক অতি দরদি বন্ধু তো বলেই দিল ''দোস্ত,কোন প্রবলেম হইলে আমারে বলবি। ভাবিরে দরকার পড়লে উঠায় নিয়ে আসুম''  

তবে সবাই একটা কথা বলল,ধ্রুবর আগে তিতিরের সাথে সরাসরি কথা বলা উচিত।


ক্লাসের বাইরে ধ্রুব অপেক্ষা করছে। তিতিরের সাথে আজকেই কথা বলবে সে। কিভাবে ওকে ভালবাসি বলবে এটা নিয়েই রাতে হাজারবার প্র্যাকটিস করেছে। পড়া শিখতেও ওর এত সময় লাগেনা । আগে কখনও কোনও মেয়ের সাথে কথা বলতে এত লজ্জাও লাগেনি ওর। অবশ্য আগে কোন মেয়েকে এভাবে ভালও তো বাসেনি।

তিতির ক্লাস থেকে বের হয়ে এসেছে। ধ্রুব ডাকল '' তিতির,একটু শোন ''

''বলেন ভাইয়া। '' ভাইয়া ডাক শুনে ধ্রুব দমে গেলো। এত কিছু থাকতে ভাইয়া কেন? ও কিছুনা,জুনিওর দেখে ভাইয়া ডেকেছে আরকি। আঙ্কেল তো আর ডাকেনাই। মনে মনে নিজেকে প্রবোধ দিল ধ্রুব।

''তোমার সাথে কিছু কথা ছিল,চল ক্যান্টিনে যাই''

''যা বলার এখানে বলেন। আমার ক্লাস আছে। দেরি হয়ে যাবে।'' এ পর্যায়ে এসে ধ্রুবর গলা শুকিয়ে গেলো। এখানে কিভাবে বলবে ও?

''বলেন না?''

ধ্রুব বলতে গেলো যে আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি তিতির। কিন্তু ওর মুখ দিয়ে বের হল

''আমি......না মানে...তুমি তো অনেক ভাল গান করো,একটা প্রোগ্রাম করবো আমরা...ওখানে গান করবা?''

''এই কথা বলার জন্য ডেকেছেন?'' তিতিরের ভাবভঙ্গি একটু নরম হয়ে এসেছে। প্রশংসা শুনলে সব মেয়েই মনে হয় একটু গলে যায়।

''আর কি বলার জন্য ডাকবো? '' অসহায় ভঙ্গিতে বলল ধ্রুব। নিজেকে একশো একটা লাত্থি দিতে ইচ্ছা হচ্ছে ওর।

''আসলে আমি তো শখের গান করি,প্রোগ্রামে গাওয়ার সেই যোগ্যতা এখনো হয়নি...তবুও থ্যাংকস বলার জন্য'' বলে চলে যাচ্ছিল তিতির।

মনে মনে এবার নিজেকে হাজারটা লাত্থি মারল ধ্রুব। আবার ডাকল ''তিতির আরেকটা কথা ছিল''

ঘুরে তাকাল তিতির '' বলেন?''

যা হওয়ার হবে, বলে দে বলে দে বলে দে...চোখ বন্ধ করে বড় একটা শ্বাস নিল ধ্রুব,তারপর হড়বড় করে বলে দিল ''তোমাকে এটা বলার জন্য ডেকেছি যে আমি তোমাকে ভালবাসি। অনেক ভালবাসি। আমি চাই তুমিও আমাকে ভালবাস''

রাগে তিতিরের মুখ লাল হয়ে গেলো। ধ্রুবর মনে হচ্ছিলো এখন যদি তিতির ওকে সবার সামনে থাপ্পর মেরে দেয় তাহলে কি হবে?

তিতির এমন কিছুই করলনা। ঠাণ্ডা গলায় বলল

''সবাই আপনার ব্যাপারে যা বলে সেটা একদমই ঠিক দেখছি। ভালবাসা আপনার কাছে খুব সস্তা ব্যাপার তাই না? আজকে এর সাথে কালকে ওর সাথে...বুঝলাম আপনি এরকমই। কিন্তু আমাকে নিজের মতো মনে করার কোনও কারন নেই। আর কখনও আমার সাথে কথা বলতে আসলে আমি চেয়ারম্যান স্যার কে নালিশ করতে বাধ্য হবো'' এরপর গটগট করে হেঁটে উলটা দিকে চলে গেলো তিতির।

ধ্রুবর মনে হল থাপ্পর মারলেই বোধহয় ভাল হত।

 

 

 [ ধ্রুব আর তিতিরের গল্পের শেষটুকু জানতে সাথেই থাকুন... :) ]


-নাজমুন নুসরাত

No comments:

Post a Comment