Subscribe:

নুসু...সুসু(১)

“আমি নুসরাত । আমি তোমাদের আজ একটা গল্প বলবো ।”
ছোটবেলা থেকে এরকম করে অনেক গল্প বলেছি! নতুন কুঁড়ির অনুষ্ঠান থেকে শুরু
করে পাড়ার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও সবার ছোট হিসেবে ‘গল্প পরিবেশন’ করতে
হয়েছে আমাকে । আমার বাবা, চাচারাই প্রায় সব অনুষ্ঠানেই আমাকে দাঁড় করিয়ে
দিয়েছেন, গল্প বলার জন্য । আমার কথা শুনে আবার মনে করবেন না যে, খুব জোর
করে আমাকে দিয়ে তাঁরা গল্প বলাতেন ।


 আমি নিজেও গল্প বলতে খুব পছন্দ করি।
যখন-তখন বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলেছি। বেশিরভাগই ভূতের গল্প । আর আমি
এমনভাবে গল্প বলতাম যে, সবাই বিশ্বাসই করে ফেলতো যে, এই ছোট্ট আমি,
গলা-কাটা ভূতের সাথে মারামারি করেছি বা তেঁতুল গাছের শাকচুন্নীর চুল টেনে
সত্যি সত্যি ঝগড়া করেছি । অনুষ্ঠান শেষে অনেকে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করে
যেতো, ঘটনাগুলো সত্যি কি না । একদিন টুকুনের বাবা এসে আমাকে জিজ্ঞেস করায়
আমি চোখ বড়-বড় করে বললাম,
“হ্যাঁ আংকেল । ঐ ভূতটা আমার সাথে এসে ঝগড়া করে । হোম-ওয়ার্কের খাতা
ছিঁড়ে ফেলে । আর আপনি যে, আপনার ছেলে টুকুনকে বিকেলে আমাদের সাথে খেলতে
পাঠান না, সে কথাও ভূতটা আমাকে বলেছে । আর এজন্য নাকি, ভূতটা আপনাকে
শাস্তিও দিবে ।”
আমি জানতাম, আমি মিথ্যে কথা বলছি । এজন্যে আমার পাপও হচ্ছে । কিন্তু আমি
এরকম না বলেও থাকতে পারতাম না । টুকুনের বাবা আমার কথা শুনে গম্ভীর মুখে
চলে যান । আমি প্রায় নিশ্চিত ছিলাম পরদিন বিকেল থেকে টুকুন আমাদের সাথে
খেলতে আসবে, আর আমাকে থ্যাংকস দিতে দিতে ভরিয়ে ফেলবে। আর আমি তখন ‘এটাতো
কিছুই না’ ভাব করে আইসক্রীম কিনে দিতে বলবো টুকুনকে। আর টুকুন আমার জন্য
দৌড়ে গিয়ে আইসক্রীম নিয়ে আসবে।
কিন্তু পরদিন স্কুলে টুকুনের সাথে দেখা করতে গিয়ে দেখি ও আমাকে দেখে দৌড়ে
পালাচ্ছে । আমিও কিছু না বুঝে ওর পেছনে ছুটতে লাগলাম । হাজার হোক,
আইসক্রীমের আশাটা ছাড়তে পারছিলাম না।
“এই টুকুন, পালাচ্ছ কেন আমাকে দেখে? ”
টুকুন তখন ভয়ে ভয়ে আমাকে বলল, “বাবা আমাকে তোমার সাথে মিশতে মানা করে দিয়েছে ।”
“কেনো?” অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম আমি।
“তুমি নাকি মানসিক রোগী। ক’দিন পর নূরা পাগলা’র মতো আমাদের মারতে আসবে।”
আবারও ভয়ে ভয়ে বলল টুকুন । আমি তখন রাগে প্রায় অন্ধ । তারপর পরই মন খারাপ
হয়ে গেলো আমার । সিদ্ধান্ত নিলাম আর কখনও বানিয়ে বানিয়ে ভূতের গল্প বলবো
না ।
                         ~~~*~~~
এখন আমি অনেকটা বড়ো হয়েছি । কলেজ এ পড়ি । ভূতের গল্প না বললেও এখনও নতুন
কোনো মানুষকে দেখলে তার একটা করে ভূতের নামে নাম দেই । যেমন আমাদের ম্যাথ
টিচারের আমি নাম দিয়েছি বোতল-ভূত। পুরো শরীর গাট্টা-গোট্টা আর মাথাটা সে
তুলনায় অনেক ছোট বলে, আমি এই নাম দিয়েছি। এই স্যারকে দেখেই প্রথম যে
বস্তুটার কথা মনে হয়, তা হচ্ছে মাম মিনারেল ওয়াটারের ৫০০ মি.লি. বোতলের
কথা। আর ওনার কথা-বার্তা শুনলে ইচ্ছে করে, বোতলটা দু’হাতের চাপ দিয়ে
চ্যাপ্টা বানিয়ে ফুটবল খেলা শুরু করি। আজ মাত্র কলেজের পঞ্চম দিন। আর আজই
আমাকে বোর্ডের সামনে একটা কিম্ভুত-কিমাকার ম্যাথ সলুশন করতে দাঁড় করিয়ে
দিয়েছেন বোতল-ভূত।
কলেজ লাইফ নিয়ে কতো মজার মজার কথা শুনতাম, স্কুলে থাকতে!
কলেজে প্রতিদিন আসতে হয় না, ইচ্ছেমতো ক্লাস মিস দেওয়া যায়, হোমওয়ার্ক
করতে হয় না, ছেলে-মেয়েরা কলেজ ক্যাম্পাসেই চুটিয়ে প্রেম করে বেড়ায়
স্যার-ম্যাম’রা কিছুই বলে না, পরীক্ষায় ডাবল জিরো পেলেও গার্জিয়ান ডাকিয়ে
প্রিন্সিপালের চোখ রাঙ্গানি সহ্য করতে হয় না- এরকম লোভনীয় অনেক অনেক কথা।
কিন্তু প্রতিদিন বোতল-ভূতের ক্লাস দিয়ে দিন শুরু করে, ইচ্ছে করে ডাক ছেড়ে
কাঁদি।
কলেজে উঠেই বই গুলোর ইয়া মোটা ‘স্বাস্থ্য’ দেখে বুঝে গিয়েছিলাম ‘ডাল মে
কুচ কালা হ্যায়’। আর এখন এই পাঁচ দিনেই বোতল-ভূতের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে
আমি নিশ্চিত হয়ে গেছি ডাল মে ‘কুঁচ’ কালো না, ডালটা পুরোটাই কালো!
ক্লাস ভর্তি ছেলে-মেয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আমি এইসব কথা ভেবে যাচ্ছি। যেকোনো
সময় বোতল-ভূত তাঁর বাঁজখাই গলায় চিৎকার করে উঠবেন, ম্যাথটা কেনো করছি না
সেটা বলে। মনে মনে আমি প্রার্থনা করে যাচ্ছি, যাতে স্যারের কোনো জরুরী কল
আসে, আর নয়তো প্রিন্সিপাল স্যার পিয়নকে দিয়ে কোনো জরুরী কাজে ডেকে পাঠান।
মোট কথা, আমি যাতে বেচেঁ যাই!
পিয়ন না আসলেও আমাদের কলেজের ইউনিফর্ম পরা একটা ছেলে ক্লাসরুমের দরজার
সামনে এসে দাঁড়ালো। ছেলেটার মাথা প্রায় দরজার পাল্লা ছুঁয়ে ফেলছে, এতো
লম্বা! আমাকে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে বোতল-ভূত এগিয়ে গিয়ে
ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করলেন,
“কি চাই?”
“স্যার… আমি নতুন ভর্তি হয়েছি।”
“ও আচ্ছা… তা প্রথম দিনই এতো দেরীতে কেন?... ঠিক আছে, এসো। … আর এই মেয়ে
বোর্ডের সামনে আর দাঁড়িয়ে না থেকে নিজের সিটে গিয়ে বসো।”
বোতল-ভূত যাতে না দেখে সেভাবে তাঁকে একটা ভেংচি কেটে সিটে গিয়ে বসলাম।
লম্বু ছেলেটাকে একটা থ্যাংকস দেয়া দরকার। ইশারাতে ছেলেটাকে বললাম, আমার
পাশের ডেস্কে বসতে। কি বুঝলো কে জানে! দেখলাম ভয়ে ভয়ে আমার পাশ দিয়ে আরো
পেছনে যাচ্ছে। তখন আমি অনেকটা জোর করে সবার অলক্ষ্যে লম্বুর হাত ধরে টেনে
আমার পাশের ডেস্কে বসিয়ে দিলাম। লম্বুটা দেখি, ভয়ে প্রায় কাঁপছে! এতো
চমকানোর কি আছে, বুঝতে পারলাম না আমি। হয়তো মেয়েদের সাথে মিশে অভ্যস্ত না
ছেলেটা। গেঁয়ো নাকি? ভাবতে লাগলাম আমি।
অপেক্ষা করছি, কখন ক্লাসটা শেষ হয়। তাহলে ছেলেটার সাথে কথা বলা যাবে।
আরও মিনিট পনের বোতল ভূতের ঘ্যান-ঘ্যানানি শোনার পর ক্লাস শেষ হলো।
ছেলেটার দিকে ফিরলাম আমি। আশ্চর্য তো! ছেলেটা আমার দিকেই তাকিয়ে ছিলো।
ছ্যাবলা নাকি!
“হাই, তুমি কোন স্কুল থেকে এসেছ?”
ছেলেটা স্কুলের নাম বললো। মফস্বলের একটা স্কুল। ssc টেস্টপেপারে দেখা যায়
এসব স্কুলের নাম। তারমানে আমি যা ভেবেছিলাম, তা-ই। গেঁয়ো একটা। ওর নাম
কোন ভূতের ক্যাটাগরীতে ফেলা যায়, ভাবছি। আরে, বারবার ‘ছেলেটা, ছেলেটা’
করছি! নামই তো জানা হয়নি। আবার তাকালাম ছেলেটার দিকে।
“আমি নুসরাত… ফ্রেন্ডরা ছোট করে ডাকে নুসু। তোমার নাম কি?”
“নাম??? না বললে হয়না?” করুণ মুখে বলল ছেলেটা। অবাক হয়ে গেলাম আমি।
সাধারণত এসব ছেলেরা নাম বলতে অতি উৎসাহী থাকে, ও বলছে না কেন?
“তোমাকে ডাকতে বা পরিচয় দিতে হলে তো একটা নাম দরকার। তাই না? সেজন্য নাম
জানতে চাচ্ছি। নাম বলতে চাও না কেন? কোনো সমস্যা?”
আমতা আমতা করে তখন ছেলেটা বলল, “আসলে আমার নাম সুহাস। তোমার বন্ধুরা যদি
আবার এটাকে ছোট করে তাহলে তো…”
 “সুসু…” হাসতে হাসতে বললাম আমি। “আজ থেকে তুমি সুসু।” আমার হাসি থামছে
না। ছেলেটার রস-বোধ আছে। ‘গেঁয়ো ভূত’ না ডেকে ভালো দেখে একটা ভূতের নামে
নাম দিতে হবে।
আমি তখন বন্ধুদের ডেকে বলতে লাগলাম, “সবাই শোনো, আমাদের এই নতুন লম্বু
বন্ধুটার নাম সুসু। সবাই ওকে সুসু বলে ডাকবি।”
সুসু’র সাথে আমার পরিচয়ের শুরুটা হয়েছিলো এভাবেই। ভেবেচিন্তে ওর নাম
দিলাম ‘তাল গাছের ভূত’।
                          ~~~*~~~

‘কলেজে চুটিয়ে প্রেম করা যায়’- এটা জানার পরও আমি প্রেম-টেমে আগ্রহী
ছিলাম না। আমার কাছে বয়ফ্রেন্ড বলতেই চোখের সামনে ভেসে উঠে সারাক্ষন
সানগ্লাস পরে থাকা ফিটফাট একটা ছেলে, গা থেকে ভুরভুর করে পারফিউমের গন্ধ
আসছে, মাথায় আধ লিটার জেল দিয়ে, হাতে ফুল নিয়ে, ভটভট করে বাইক চালিয়ে
আমার পেছন পেছন আসছে, আর মিনিটে কম করে হলেও একশ’ বার কানের কাছে ‘জানু,
জানপাখি, টিয়া পাখি’ করছে। ঘন্টায় ঘন্টায় কল করে জিজ্ঞেস করবে, “জানু
খাইসো?”, “ঠিকমতো বাসায় পৌছাইসো?”, “কালকে তোমাকে নিয়ে লং ড্রাইভে যাবো,
মুয়াহ জানু” এরকম করছে! সব মিলিয়ে টোটালি অসহ্য!!!
আমার অনেক বান্ধবীর ‘বয়ফ্রেন্ড’ নামক প্রানীকে এরকম করতে দেখে দেখে আমি
অভ্যস্ত হয়ে গেছি। কিন্তু আমি ভেবে পাই না, ওরা এই ‘বয়ফ্রেন্ড’ গুলোকে
সহ্য করে কিভাবে! যেভাবে মশার মতো কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করে, ইচ্ছে করে
কষিয়ে একটা চড় মেরে মশা মারার মতো টিপে চ্যাপ্টা বানিয়ে দেই !
আমার কয়েকটা বান্ধবীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, “ছেলেরা তো আমাদের বন্ধুই…।
ওদের আবার ‘বয়ফ্রেন্ড’ নামক আলাদা ক্যাটাগরীতে ফেলার কি দরকার?” তারপর
ওদের উত্তর শুনে তো আমার আক্কেল-ফাক্কেল সবই গুড়ুম করে উঠলো!
“আরে, বুঝিস না? একটা ছেলে তোকে ফ্রেন্ড হিসেবে যতোটা হেল্প করবে,
‘বয়ফ্রেন্ড’ হিসেবে তার চেয়ে হাজার গুন বেশী হেল্প করবে।”
“তারমানে তোরা হেল্প এর জন্য বয়ফ্রেন্ড বানাস? ওরা তোদের হেল্পার?”
“আরে তুই তো প্রেম করিস না, তাই বুঝিস না। বয়ফ্রেন্ড থাকার অনেক বেনিফিট আছে।”
“যেমন?”
তখন লাবনী বললো যে, কলেজে ভর্তি হওয়ার পর ওর নাকি একবারও মোবাইলে রিফিল
করতে হয়নি। সব ওর বয়ফ্রেন্ডই দিয়েছে। মনে মনে ভাবলাম, তার মানে লাবনী’র
বয়ফ্রেন্ড একটা ফ্লেক্সির দোকানদার।
তারপর অর্পা বললো যে, ওর বয়ফ্রেন্ড ওকে নিয়ে প্রতিদিনই চাইনিজ, থাই
রেস্টুরেন্টে খাওয়াতে নিয়ে যায়। মনে মনে ভেবে পেলাম না, যে মেয়েকে জোর
করেও ওর মা ঠিকমতো খাওয়াতে পারে না, সে মেয়ে কি না প্রেম করছে চাইনিজ,
থাই রেস্টুরেন্টে খাওয়ার জন্য!
এরপর সায়েমা জানালো, ও তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে প্রায়ই বসুন্ধরা সিটিতে গিয়ে
শপিং করে আর তারপর স্টার সিনেপ্লেক্সে গিয়ে মুভি দেখে আসে। আমি ভাবলাম,
শপিং করার জন্য বয়ফ্রেন্ডের কি দরকার? বাবা-মা আছে কি করতে তাহলে? আর
মুভি তো সব বান্ধবীরা মিলে দেখতে আরো মজার!
এরপর সবাই মিলে আমাকে জিজ্ঞেস করলো, “তুই-ই বল, বয়ফ্রেন্ড ছাড়া এরকম
সুবিধা আর কোথায় পাবি?” আমি ভাবলাম ওরা হয়তো ঠিকই বলেছে। এরকম সুবিধা(!)
আর কোথায় পাবো! তবে এসব ‘সুবিধা’র দরকারই বা কি? সেটাও বুঝতে পারলাম না।
চুপ করে রইলাম।
‘খুক’ করে কাশির শব্দ শুনে ফিরে তাকালাম আমরা সবাই। দেখলাম নীলা হাতে
নেইল-পলিশ লাগাচ্ছে। নীলা আমাদের কলেজ-সুন্দরী। সারাক্ষনই সাজুগুজু করে
থাকে। আমার মনে হয়, ওর ব্যাগ চেক করলে বই-খাতা পাওয়া যাক, না যাক, অন্তত
১ টা মেক-আপ বক্স পাওয়া যাবেই। নীলা আমাদের দিকে তাকিয়ে বললো,
“কাকে কি বোঝাচ্ছিস তোরা? নুসুর কোনো বয়ফ্রেন্ড আছে? না ছিলো কোনোকালে? ও
কি করে বুঝবে বয়ফ্রেন্ডরা কতো ইউজফুল। … আর ওর যা চেহারা, ওর বয়ফ্রেন্ড
জুটবে কি করে! হুহ…”
লাবনী, অর্পা, সায়েমা সবাই হাসতে লাগলো নীলার কথা শুনে। রাগে কান ঝা-ঝা
করে এরকম শুনেছিলাম আমি। আজ সেটা আমার হচ্ছে। কানে ঝা-ঝা সঙ্গীত বাজছে।
ইচ্ছে করছিলো বলেই ফেলি, “যাহ, তিনদিনের মধ্যে আমি পাঁচটা বয়ফ্রেন্ড কে
নিয়ে ঘুরবো। দেখিস!” কিন্তু একটা কথা মনে পড়ে যাওয়ায় বললাম না সে কথা।
স্কুলে পড়ার সময় আমরা চার জন প্রানের বান্ধবী ছিলাম। আমি, ইরা, নিপা আর
প্রান্তি। স্কুলের শেষদিন মানে র‌্যাগ ডে’র দিন আমরা শপথ করেছিলাম যে,
আমরা কখনও বিয়ে করবো না। আর আমাদের মূল-মন্ত্র ছিলো ‘বয়ফ্রেন্ডের গুস্টি
কিলাই’। নিপা ইংল্যান্ডে চলে গেছে। ইরা ঢাকার বাইরে কোথায় যেনো ভর্তি
হয়েছে। প্রান্তি ঢাকাতে থাকলেও অন্য একটা কলেজে ভর্তি হয়েছে, যোগাযোগ নেই
তেমন। কিন্তু আমরা আমাদের শপথ মেনে চলবোই- এই কথা দিয়েছিলাম বলেই নীলাদের
আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করার পরও কিছু না বলেই উঠে এলাম আমি। মনে মনে বললাম,
“বয়ফ্রেন্ডের গুস্টি কিলাই।”(চলমান) -

সাকিব মাহমুদ
Fb id-haru mia

No comments:

Post a Comment