Subscribe:

তুলতুল

এপ্রিল,২০০৭
অপেক্ষা করছে নীলা..ওরা কখন আনবে বাবুটাকে?মেয়ে বাবু..যখন পেটে ছিল,কতরাত গান গেয়ে গেয়ে ঘুম পাড়িয়েছে..কত গল্প করেছে বাবুর সাথে..উল বুনতে জানতো না..মনে মনে হেসে ওঠে নীলা।কিইবা জানতো বিয়ের আগে?না রান্না,না ঘর গুছানো..সারাদিন শুধু দস্যিপনা..প্রক্সির উপর কেটেছে গোটা ভার্সিটি লাইফ!বিশাল ফ্রেন্ড সার্কেল..আড্ডা পিটানো..বৃষ্টির দিনে রাস্তার পাশের ছোট্ট চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে ভিজতে ভিজতে চা খাওয়া...চুল বাঁধতে চাইতো না কিছুতেই।মা বকতেন-"নীলা,তেল দিসনা,কিচ্ছুনা..চুলগুলা সব নষ্ট করবি"..আচ্ছা সেও কি এভাবেই শাসন করবে তার মেয়েটাকে?উফফ..মাতৃত্ব..


ভাবতে অবাক লাগে গত ক'টা বছরে জীবন কত দ্রুত বদলে গেছে..ক্লাসের সুবোধ বালক আর দস্যি মেয়ের প্রেম..সেই একই কাহিনী..opposites attract!

ওকে অবাক করে দিয়ে এক ক্লাস ছেলে মেয়ের সামনে হাতটা ধরেছিল শাফকাত..
"দস্যি মেয়ে,বিয়ে করবে এই বোকা ছেলেটাকে?"
দস্যি মেয়ে চুপ। ননস্টপ অর্থহীন বকবক করা মেয়েটা চুপ..বন্ধুরা তো উত্তেজনায় অস্থির.."হ্যাঁ বল্..আরে হ্যাঁ বল্ না...!"বেশ কিছুক্ষন পর গম্ভীর ভঙ্গীতে বলেছিল সে-"খুব তাড়াতাড়ী করতে হবে কিন্তু..নইলে,জানোই তো..আমার মুড..যেকোনো মুহূর্তে চেন্জ হয়ে যেতে পারে!"

শাফকাত তার বিখ্যাত intellectual মার্কা হাসিটা দিয়েছিল! মেয়েরা বোধয় এমনি।কত দ্রুত বদলে যায়..মাঝেমাঝে নিজের কাছেই অদ্ভূত ঠেকে-কি সুন্দর সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।ছোট্ট বাসায়..ধবধবে সাদা রঙের পর্দা..লাল টুকটুকে ফ্রিজ..ব্যালকনিতে একটা মাদুর পাতা আর ছোট্ট মানিপ্ল্যান্ট..বেডরূমে বিয়ের ছবিটা বিশাল করে বাঁধানো-"গাধাটা হাসতেও জানেনা..নীলা মুখ তুলে হাসি হাসি করে তাকিয়ে আছে..শাফকাতের মুখে রূমাল!!আচ্ছা এই যুগে কেউ রূমাল মুখে দিয়ে বিয়ে করে?!"...
দখিনের জানলাটা খোলা থাকে সবসময়..পাশে সেই দাদার আমলের একটা বুকশেল্ফ..ছড়ানো ছিটানো বই সব..বাতাসে উড়তে থাকা বইয়ের পাতা..ছোট্ট টিপট,লাল-নীল মগের ঠোকাঠুকি আর দুটো সুখী হৃদয়ের প্রানখোলা হাসি... গোছানো রান্নাঘরে সুন্দর সুন্দর মশলার কৌটা..প্রথম যেদিন খিচুড়ী রাঁধলো,লবনই দেয়নি!সবার আগে মা'কে খাইয়েছিল..মা তো বিশ্বাসই করতে পারছিলনা-"তুই..তুই রাঁধছিস?লবন হয়নাই তো কি হইসে..নিজের হাতে রাঁধছিস,হাত টাত পুড়াইস নাই তো আবার.."মা'র দু'চোখ খুশীতে চকচক করছিল।

তারপর এলো নতুন অতিথির আগমনবার্তা..পুরো পরিবারে সাজ সাজ রব..নীলা লজ্জা লজ্জা কন্ঠে তার শাশুড়ীকে বলেছিল-"মা,আমাকে উল বোনা শিখাবেন?"শুনে দুই মা ই অবাক!শাশুড়ীর তো পুত্রবঁধূ গর্বে মাটিতে পা ই পড়ছিল না!!-"দেখছেন
বেয়াইন,বলছিলাম না এইটা আমার লক্ষী বৌমা"..একটা লাল টুপি আর দুটো ছোট্ট ছোট্ট মোজা বুনেছে ও..
মেয়ের নাম রাখা নিয়েও কত কি!"নবজাতকের সুন্দর নামকরন"জাতীয় বই নিয়ে ঘাটাঘাটি,গুরুজন-ছোটজন সবার হাজারো সাজেশন..কারো মন ভাঙা যাবেনা।শেষ পর্যন্ত নাম রাখা হল তুলতুল..কি আদুরে একটা নাম"তুলতুল"..

কিন্তু বাবুটাকে এখনো আনছেনা কেন ওরা?কখন কোলে নেবে ওকে..ওর গোলাপী ঠোঁটদুটো একটু ছুঁয়ে দেখবে।premature baby,ডাক্তাররা তাই জন্মের পরপর ই ওকে নিয়ে খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল..তবে একটু আগে নার্স এসে বলে গেছে তুলতুল
এখন সুস্থ।উফফ..এত্ত নিয়ম-কানুন,বাসার লোকজনকেও এখনো ঢুকতে দেয়নি কেবিনে।

দরজাটা খুলে গেল।নার্স ওর হাতে তুলে দিয়ে গেল ধবধবে সাদা টাওয়েলে জড়ানো একটা গোলাপী পরী..ছোট্ট..তুলতুলে-"এইটা কি পুতুল?দস্যি মেয়ের পুতুল??এই দেখ,আবার চোখ খুলে চায়ও..এই বাবু,কি দেখিস?আম্মু দেখিস?প্রান ভরে মেয়ের গায়ের ঘ্রাণ নিল নীলা,তারপর আলতো করে ওকে বুকে চেপে ধরল..আবার ব্যাথা না পেয়ে যায়..মাথাটা কি নরম..পাতলা পাতলা লালচে কিছু চুল..নাকটা এমন কেন!এই বাবু,আব্বুর নাক পাইছিস নাকি?আব্বুর মত হবি?লক্ষী মেয়ে টাইপ.."

শাফকাত ঢুকল।পেছন পেছন হুড়মুড় করে দুই পরিবারের যাবতীয় আত্নীয়স্বজন..এই জেনারেশনের প্রথম বাচ্চা-তাই দেখার জন্য পাগল হয়ে আছে সবাই।শাফকাতই আগে কোলে নিল।বেচারা বেশ লজ্জা পাচ্ছে..বাবা হবার অদ্ভূত feelings.."এই ছোট্ট
ফুলপরীটা তার অংশ..আধো আধো স্বরে বা..বা..ব্বা ডাকবে..ঘাড়ে উঠে মাথার চুল টেনে ধরবে..হামাগুড়ি দিয়ে এসে বাবার পা ধরে ঝুলে থাকবে..আর অফিসের ফাইলে A B C D..কিরে লিখবিনা?!মা'র মত দস্যি মেয়ে বানাব তোকে"..মনে মনে কত কথা
বলে যায় শাফকাত,আর দু'চোখ ভরে দেখে তার তুলতুলকে।বাবা-মেয়ের প্রথম দেখা..আচ্ছা এতো সুন্দর মুহূর্ত কি আর ওদের জীবনে এসেছে কখনো?জীবনটা যেন পূর্ণতা পেল আজ.. খুশীর অশ্রু দুজনের চোখে.. এতো ভালবাসা..ঈশ্বর কিভাবে পার তুমি-ক্ষুদ্র জীবন ভরিয়ে তুলতে..এমন অফুরান ভালবাসায়?


জানুয়ারী ২০১২/সকাল ৬টা
সুন্দর সকাল।ভোরের প্রথম আলো উঁকিঝুঁকি মারছে।এ্যলার্ম ঘড়ির যান্ত্রিক শব্দ ছাপিয়ে গেল ভোরের পাখিদের কলতান..উঠে পড়ল নীলা।ওপাশে শাফকাত অঘোরে ঘুমাচ্ছে।আর শাফকাতের বুকের কাছে গুটিসুটি মেরে তুলতুল।লেপটা একটু সরে গেছে।বাপ-মেয়ে দুজনেরই এক সমস্যা..কারো গায়ে লেপ থাকেনা।মাঝরাতে উঠে উঠে লেপ ঠিক করে দেয় নীলা।না,এখন আর ঘুমালে চলবেনা..তাড়া দেয় ওদের-"তুলতুল..এই তুলতুল..ওঠ মা।স্কুলের দেরী হয়ে যাচ্ছে তো"

-"আম্মু,আর এততু ঘুমাই..এততু.."তুলতুল আঙ্গুল দিয়ে দেখায়!কিযে আদুরে হয়েছে মেয়েটা..হেসে ফেলে নীলা..উহু বাপ মেয়েকে শাসন করতে হবে..কড়া গলায় বলে এবার-"না বাবু দুত্তুমী করেনা..উঠে যাও আর আব্বুকেও ওঠাও।প্রতিদিন
প্রতিদিন এরকম লেট করলে হবে?"
শাফকাতের কানে শাড়ীর আঁচল পেঁচিয়ে সুড়সুড়ি দেয়..তারপর ধাক্কা-"তুলতুলের আব্বু..এই তুলতুলের আব্বু..এক্খন উঠ,উঠ বলতেছি.."অবশেষে আড়মোড়া ভাঙে জনাবের..তুলতুলকে কোলে তুলে বলে-"উঠে পড় বেটি,তোর আম্মুর যন্ত্রনায় আজকে
আর ঘুম হবেনা!"

সকাল ৭টা ৩৫
মেয়ে আর মেয়ের বাবাকে তৈরী করে দিয়ে অবশেষে দোরগোড়ায় নীলা। তুলতুল-"বাই মা,আমার হাম্মি?..."
ঝুঁকে গিয়ে মেয়ের গালে চুমু খায় নীলা।-"শোন বাবু,টিফিন পিরিয়ডে দারোয়ান আঙ্কেলকে ফাঁকি দিয়ে গেট থেকে বেরুবে না কিন্তু।এই শীতের মধ্যে আইসক্রীম খাওয়ার কোন দরকার নাই।সাবধানে থেকো কেমন..আর বাবুর বাবা,পারলে বাবুকে নিয়ে আজকে একটু তাড়াতাড়ী চলে আইস।আমরা ওয়ান্ডারল্যান্ড যাব..তাইনা বাবু.." চোখেমুখে হাসি নিয়ে বলে তুলতুল-"ওয়ান্ডারল্যান্ড!!"
চলে যায় ওরা।নীলা তাকিয়ে থাকে..তুলতুল আসার পর থেকে জীবনটা অন্যরকম সুন্দর হয়ে গেছে।না..দস্যিই হয়েছে মেয়েটা!স্থির হয়ে বসেই না..এত্তটুকুন একটা পুচকি-পুরো বাড়ীটাকে জমিয়ে রাখে..টেবিলে তুলতুলের রঙবেরঙের বই..দেয়াল জুড়ে কাঁচা হাতের ড্রয়িং..বিছানার উপর আয়েস করে পড়ে থাকা ওর যত ডল্ আর টেডিবীয়ার!কখনো খাবার নিয়ে ঘরময় তার পেছন পেছন ছোটো..কখনোবা পড়ার টেবিলে বসেই মেয়ের আবদার-"আম্মু,আইসক্রীম দাও,নাইলে পড়বনা কিন্তুক্.."ও কিন্তু কে বলে 'কিন্তুক্'!কখনো দাদুর চশমার ডাঁটি ভেঙে ফেলছে..কখনোবা ছুটছে পোষা বিড়ালটার পিছুপিছু..স্কুল থেকে ফিরেই বাবার সাথে সারাদিনের গল্প..তখন এক গ্লাস দুধ হাতে নিয়ে পাশে বসে থাকো..মেয়ে একটু খাবে আর একটু গল্প করবে..স্কুলের সময়টাই যা একটু বাসার বাইরে থাকে আর তাতেই চারপাশটা কেমন ফাঁকা হয়ে যায় নীলার ..

বিকেল ৫টা
নীলা-হ্যাঁ শাফকাত,কোথায় তুমি..কখন থেকে ফোন ট্রাই করতেছি..তুলতুল কই?
ওপাশে নিস্তব্ধতা..
নীলা-কি হল কথা বলনা কেন?তোমার না ওকে দুপুরে স্কুল থেকে নিয়ে আসার কথা..
শাফকাত-নীলা,তুমি একটু ঠান্ডা মাথায় শোন..আমরা হাসপাতালে।রোড ক্রস করতে
গিয়ে তুলতুলের অ্যাকসিডেন্ট হইসে..
-কি?কিভাবে?কি হইসে আমার তুলতুলের?
-আমাকে ওদের স্কুল থেকে ফোন করছিল।তাড়াতাড়ী ওকে নিয়ে হাসপাতালে
আসলাম।treatment চলতেছে..তাড়াহুড়ার মধ্যে ফোন করার সময়ই পাইনাই।
-আচ্ছা ওর কি হইছে বল,আমার কাছে লুকাইওনা..বলতে বলতে গলা ধরে আসে নীলার..
-শোন,তুমি panic হয়োনা।তাড়াতাড়ী চলে আস হাসপাতালে।সব বলতেছি..আসলে ইনজুরি
টা হইসে ওর মাথায়।প্রচুর  bleeding হইসে..এখন blood দরকার..কিন্তু  blood
পাওয়া যাচ্ছেনা।
-কি বল এইগুলা?আমরা দিব blood..
-না।তুলতুলের blood group O negative..আমাদের দুজনের বা পরিচিত কারো সাথে
ম্যাচ করে না..
ফোনের ওপ্রান্তে কথা খুঁজে পায়না নীলা...


শাওনের কথা-
শাওন।ঢাকার এক স্বনামধন্য বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।ক্লাসের ফাঁকে আড্ডা মারছিল।হঠাত্‍ই ওর বন্ধু মাসুদের ফোন-"হ্যালো শাওন,এই তুই খুব তাড়াতাড়ী ঢাকা মেডিকেলে আসতে পারবি?"
ওর গলা শুনেই ঘাবড়ে যায় শাওন-"কেন রে,কি হইসে..serious কিছু?"
-"হ্যাঁ,আমার এক ভাগনী,ছোট্ট একটা মেয়ে তুলতুল..ওর অ্যাকসিডেন্ট হইসে আজকে সকালে।এখন ইমার্জেন্সী বেসিসে blood দরকার..O-ve..কোথ্থাও পাওয়া যাচ্ছেনা।হঠাত্‍ তোর কথা মাথায় আসল।আয়না দোস্ত্.."
-"হ্যাঁ হ্যাঁ,আমি এক্ষুনি আসতেছি.."


পরদিন/সন্ধা ৬টা
ডাক্তার-"চিন্তা করবেন না,শাফকাত সাহেব..your baby is completely out of danger..তবে হ্যাঁ,ঠিক সময়ে blood না পেলে কিন্তু..সত্যি বলতে কি-আমরাও ঘাবড়ে গেছিলাম,বাচ্চা মানুষ..কিন্তু ঠিক সামলে উঠছে।আর হ্যাঁ এই young manকেও ধন্যবাদ।আমাদের স্টকে সাধারনত blood থাকে..কিন্তু একেতো rare blood group,তার উপর..anyway,এখন সবকিছু ঠিক আছে।কালকেই discharge দিয়ে দিব।

শাফকাত কি বলবে বুঝে পায়না।তার সাজানো জীবনে গত ২৪ঘন্টায় ঝড় বয়ে গেছে।চোখের নিমিষে চারপাশে কতটা অন্ধকার নেমে আসতে পারে,নিজের উপর না পড়লে হয়তো কখনোই বুঝতোনা শাফকাত।শাওনের হাত ধরে বলে-"ভাই শাওন..তুমি যা
করছ,আমার বাচ্চাটা..আমার বাচ্চাটার কিছু হলে আমি simply পাগল হয়ে যেতাম..ভাই,তোমাকে ধন্যবাদ দেয়ার ভাষা আসলে আমার নাই"
শাওন-"আরে শাফকাত ভাই,কি বলেন এইগুলা..আমার নিজের ভাগনী হলে কি আমি রক্ত দিতামনা.."


হাসপাতালের করিডোর ধরে ফিরছে শাওন..থমকে দাঁড়ালো তুলতুলের কেবিনের সামনে-জানলা দিয়ে দেখা যাচ্ছে..মাথায় মস্ত বড় ব্যান্ডেজ নিয়ে পরীর মত ফুটফুটে একটা বাচ্চা বসে আছে মা'র কোলে..তার একহাতে শক্ত করে ধরা মা'র আঁচল।ভদ্রমহিলার চুল উস্কোখুস্কো..চোখ দুটো লাল..অনবরত পানি পড়ছে..কেমন করে যেন আগলে ধরে আছেন বাচ্চাটাকে..আর তুলতুল ওর ছোট্ট ছোট্ট হাত দিয়ে মা'র চোখ মুছিয়ে দিচ্ছে।বেচারীর ছোট্ট হাত ছাপিয়ে যাচ্ছে মাতৃত্বের তীব্র মমতা...

শাওন emotional টাইপের না।শক্ত ছেলে।তার ২২বছরের সাদামাটা জীবনে তেমন বাহবা পাওয়ার মত কিছু করেছে কিনা মনে পরেনা।নিজেকে নিয়ে গর্ব হয়নি কখনো..ভালোবাসা নিয়েও এতো ভাবেনি সে..কিন্তু আজ-দূর থেকে মা আর সন্তানের
এই একান্ত মুহূর্তটি দেখে কেন জানি চোখদুটো ভিজে গেল তার..এক অদ্ভূত আত্মতৃপ্তি ঘিরে ধরল তাকে.. "ভালো থেকো তুলতুল"..
অচেনা শিশুটির প্রতি এক বুক ভালোবাসা নিয়ে ঘরে ফিরল শাওন।

[একটা মানুষের জীবন বাঁচানো..তার চরম অসহায়ত্বে পাশে এসে দাঁড়ানো..কিচ্ছু
না,শুধু মন্যুষত্বের টানে..ভালোবাসার টানে-দেশটা যদি এমন হাজারো শাওনে
ভরে যায়,আর একটা তুলতুলকেও মরতে দেবনা আমরা..
ভালো থেকো তুলতুল সোনা :D ]

রাহনুমা কুমকুম

No comments:

Post a Comment