Subscribe:

অবশেষে..

চায়ের কাপ হাতে নিয়ে অস্থিরভাবে এদিক-ওদিক পায়চারি করছিল পিয়াল।
- দেখ পিয়াল, চুপচাপ বসে চা খা। এত ছটফট করার কী আছে? সময় হলে ও তো আসবেই।
: এসব তুই বুঝবি না। কাউকে ভালোবেসে সেই কথা এতদিন মনে চেপে রাখা যে কী কষ্টের, সেটা তুই নিজে কাউকে ভালো না বাসলে কোনদিন বুঝতে পারবি না।


- বলে দিলেই তো পারিস। অকারণে এত ঝামেলা করিস কেন? তোদের এই প্রেম-ট্রেমের ব্যাপার আমি বুঝি না, বাপু। খালি খালি কষ্ট। তোর তো দেখি এখন 'বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না অবস্থা'!
: আমি তো বলতেই চাই। কিন্তু ভয় হয়, যদি ও না করে দেয়, তখন আমার কী হবে?
- আরে গাধা, ভালোবাসা, বিয়ে যে করতেই হবে এমন কোন কথা আছে নাকি? এই জীবনটাই তো কত্ত ভালো। যখন যা খুশি তাই করতে পারি। কোন টেনশন নাই। ভালোবাসা, বিয়ে করা মানে হল ভালো একটা দড়িতে গিঁট দেওয়া। যেই গিঁট কোনদিন খোলা সম্ভব না।

কী যেন বলতে যাচ্ছিল পিয়াল। থেমে গেল হঠাৎ-
: ওই যে, ও আসছে।

আমি মাথা ঘুরিয়ে দূরে মেয়েটার দিকে তাকালাম। যার নাম পর্যন্ত জানে না পিয়াল। অথচ আমার মনে মনে ভালোবেসে বসে আছে। মেয়েটাও জানে না এর কিছুই। কোনদিন জানবে কিনা সন্দেহ আছে!

আমার বন্ধু পিয়াল- আমাদের ক্লাসের অন্যতম ভালো ছাত্র। মেয়েরা যার জন্য পাগল। কিন্তু সে পাগল এই নাম না জানা মেয়েটার জন্য। আজকে ও আমাকে ওর ভালোবাসার মানুষটিকে দেখাবে বলে এই রোদের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছে।

- ওরে পিয়াল, এ তো দেখি মা কালী রে! এ কি আসলেই সেই মেয়ে, যাকে তুই ভালোবাসিস?

গভীর দুঃখ নিয়ে আমার দিকে তাকায় পিয়াল। মেয়েটা না যাওয়া পর্যন্ত চুপ করে থাকে।

: তূর্য, তুই কাউকে ভালোবাসিস নি বলে জানিস না, ভালোবাসা আসলে কী। ও কালো হতে পারে, তাই বলে ওকে আমি ভালোবাসতে পারব না, এমন তো কোন কথা নেই।
- কিন্তু তোর সাথে তো একে মানাবে না। লোকে কী বলবে একবার ভেবেছিস?
: অন্যদের কথায় আমার কিছু যায়-আসে না। আমি ওকে ভালোবাসি, ওকে বিয়ে করতে চাই, এটাই আসল কথা।
- কিন্তু...
: কোন কিন্তু না। তোকে একটা কথা বলি তূর্য। ভালোবাসার কোন জাতি, ধর্ম, বর্ণ ভেদাভেদ হয় না। ভালোবাসা ভালোবাসাই। তুই যখন কাউকে ভালোবাসবি, তখন বুঝতে পারবি।
- আরে দূর! আমি এই সব ভালোবাসাবাসির মধ্যে নাই। শুধু শুধু ঝামেলা বাড়ানো আর কি!
: তুই দেখিস, ভালোবাসা তোর জীবনেও আসবে। তুই না চাইলেও আসবে।
- ওরে আমার ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা রে! চল এবার। আর শোন, তোকে দুঃখ দেয়ার জন্য সরি।
: ভাব নিস না তো। চল।
- মামা, চায়ের দামটা নেন।

#
মেঘলা আকাশ। অথচ এই একটু আগেও রোদে টেকা যাচ্ছিল না। বৃষ্টি হলে ভালোই হয়। আপার বাসার কাছাকাছি আসতেই এক জায়গায় জটলা দেখতে পেলাম। এগিয়ে গেলাম। দেখি, একটা মেয়ে, রূপবতী বলা চলে, রাস্তায় হোঁচট খেয়ে পড়েছিল মনে হয়। জামায় ধুলাবালি লেগে আছে। পাশে একটা ব্যাগ। মেয়েটা উঠতে পারছিল না। কারণ, মেয়েটা ঠিকমতো হাঁটতে পারে না। পাশে ক্র্যাচ পড়ে আছে। উঠতে কষ্ট হচ্ছে। সবাই মজা দেখছে। কিন্তু কেউই এগিয়ে যাচ্ছে না। ভদ্রতা করে শেষ পর্যন্ত আমিই এগিয়ে গেলাম। হাত ধরে উঠতে সাহায্য করতে চাইলাম তাকে।

: দয়া করে আমাকে ধরবেন না। আমি একাই উঠতে পারব। কারো করুণার দরকার নেই আমার।

কঠিন কণ্ঠে বলল মেয়েটা। আমি অবাক, হতভম্ব। এ কীরে বাবা! যেচে উপকার করতে গিয়ে কিনা কথা শুনতে হল!
আস্তে আস্তে কষ্ট করে উঠে দাঁড়াল মেয়েটা। ক্র্যাচ আর ব্যাগটা তুলে নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে হাঁটতে চোখের আড়াল হয়ে গেল। আর আমি রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে রইলাম বোকার মতো।

#
অনেকদিন পর আসলাম আপুর বাসায়। বকাই খাই কিনা কে জানে? আরে আজব! দরজা খোলে না কেন? অন্যদিন হলে তো এতক্ষণে ভাগ্নে-ভাগ্নি দুইটা আমার ঘাড় ধরে ঝুলে পড়তো। আজকে কী হল? যাক! শেষ পর্যন্ত দরজাটা খুলল। কিন্তু যে দরজা খুলল, তাকে দেখে আমি একটা ঝাঁকি খেলাম। সেই মেয়েটা! যার সাথে একটু আগে রাস্তায় দেখা হয়েছিল। মেয়েটাও আমাকে দেখে চমকে উঠল। পরক্ষণেই শীতল কণ্ঠে বলল,

: কাকে চান? 
- ইয়ে, আপু বাসায় আছে?
: আপুটা কে?

ঠিক তখনই আপু বের হয়ে আসল। বলল,
: তূর্য, তুই? কেমন আছিস? এতদিনে আমাদের কথা মনে পড়ল? আয় ভেতরে।

মেয়েটা দরজা ছেড়ে সরে দাঁড়ায়। আমি ভেতরে ঢুকি।

: তোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। ও হল মিতি। তোর দুলাভাইয়ের মামাতো বোন। পড়াশুনা করছে। কুমিল্লা থাকে। অনার্স থার্ড ইয়ার। আর মিতি, ও তূর্য। আমার ছোট ভাই। এবার মাস্টার্স ফার্স্ট ইয়ার।

আমি মিতির দিকে তাকিয়ে বলি,
- ভালো আছেন?
: জি, ভালো। আপনি?
- আমিও ভালোই আছি।

আর কী বলব ভেবে পাই না। আপাকে বলি,
- আমার পুতুল দুইটা কই?
: ওরা তোর দুলাভাইয়ের সাথে বাইরে গেছে।
- তাইলে আমি আর কী করব? আজকে যাই।
: না না, খেয়ে যা।
- প্লিজ আপু। কিছু খাব না। মাফ কর আমাকে।
: আচ্ছা যা। আর শোন, আমার সাথে একটু ভেতরে আয় তো।

আপার সাথে ঘরে ঢুকি। কিছু টাকা আমার হাতে ধরিয়ে দেয় আমার আপুটা। বলে,
: তোর দুলাভাই ওইদিনই বলছিল তোর কথা। তুই আমাদের সাথেই থাক না। রুম তো একটা খালিই পড়ে আছে। হলে কি না কি খাস?
- না রে আপা। হলই ভালো। আর আমি তো যখন ইচ্ছা চলেই আসি।
: তুই আমার কথা শুনিস না কেন?

ছলছল চোখে বলে আপু।

- তুই একী শুরু করলি রে আপু? প্লিজ, এখন আবার কাঁদতে শুরু করিস না।

আপু স্বাভাবিক হতে চেষ্টা করে। আর আমি বের হয়ে আসি ঘর থেকে। বসার ঘরে তখনও চুপচাপ বসে আছে মেয়েটা।

#
কিছুদিন পর আবার গেছি আপুর বাসায়। দরজা খুলল মিতি। ইতস্ততঃ করে বলল,
: আপা-দুলাভাই কেউই বাসায় নেই।
- ও, ঠিক আছে। আমি তাহলে আরেকদিন আসব। আজ চলে যাই।
: কিছু মনে না করলে আপনাকে কিছু কথা বলতে চাই।
- বলুন না।
: আপনি একটু ভেতরে আসুন। বলছি।

খালি বাসায় এভাবে ঢোকা ঠিক হবে কিনা ভেবে শেষ পর্যন্ত ঢুকেই পড়লাম। মিতি ক্র্যাচ নিয়ে আস্তে আস্তে হেঁটে আমার মুখোমুখি সোফায় এসে বসল।

: ওই দিনের ব্যবহারের জন্য আমি লজ্জিত। আমাকে ক্ষমা করে দেবেন দয়া করে।
- না, না। ঠিক আছে। আমি কিছু মনে করি নি।
: আসলে আমি তো ঠিকমতো হাঁটতে পারি না। তাই সবাই আমাকে করুণা করতে চায়। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমি কারো করুণা চাই না। আমি নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। সবাইকে দেখাতে চাই, জানাতে চাই, বোঝাতে চাই যে, আমি ঠিকমতো হাঁটতে পারি না তো কী হয়েছে? আমি শারীরিকভাবে দুর্বল নই। আমিও অন্যদের মতো সব কাজ করতে পারি। আমিও আর সবার মতো সাধারণ মানুষ। শরীরের কোন একটা অঙ্গ কাজ না করলেই তাদেরকে কেন আলাদা চোখে দেখা হবে? কেন তাদেরকে করুণা করতে হবে? কেন 'প্রতিবন্ধী' নামক শব্দটি দিয়ে তাদের চারপাশে গণ্ডি এঁকে দেয়া হবে? কেন তারা অন্যদের মতো স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার অধিকার পাবে না? কেন তারা বোঝে না, আমরাও পারি। আমাদের শুধু একটু সুযোগ দরকার, একটু ভালোবাসা দরকার।

বলতে বলতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে মেয়েটা। কী বলব বুঝতে না পেরে চুপচাপ বসে থাকি আমি। কিছুক্ষণ পর 'আসি' বলে বেরিয়ে আসি আপুর বাসা থেকে।

#
কী যেন হয়েছে আমার। কেমন জানি অস্থির লাগে সারাক্ষণ। মনে হয়, কী যেন নেই। কোন কিছুতে মন বসে না। ঘুরে ফিরে বার বার মনে পড়ে মিতির কথা। কী স্নিগ্ধ-কোমল মুখ মেয়েটার। কথা বলার সময় টোল পড়ে গালে। কী যে ভালো লাগে দেখতে!

সেদিন ওর কষ্টের কথাগুলো বলতে গিয়ে কী গভীর বিষাদে ভরে গিয়েছিল মেয়েটার মন! শ্রাবণের ঘন কালো মেঘের ছায়া ভেসে উঠেছিল তার মুখটিতে। দীর্ঘ পল্লব ঘেরা নয়ন দু'টি ভরে গিয়েছিল বর্ষার বৃষ্টিতে। কয়েক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়েছিল ওর গাল বেয়ে।
আমার খুব ইচ্ছে করছিল, ওর চোখের পানি মুছিয়ে দেই। হাতে হাত রেখে বলি,

"কীসের এত কষ্ট তোমার? আমি আছি না? আমি তোমাকে আমার এই বুকের মাঝে ধরে রাখব আজীবন। কোন কষ্টই আর তোমাকে স্পর্শ করতে পারবে না। কেউ তোমাকে অসহায় বলতে পারবে না। আমি তোমার সব দুঃখ দূর করে দেব। তোমাকে আমার করে নেব।"

কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না আমি। কিছুই ভালো লাগে না আমার। অকারণে মন খারাপ হয়। মিতির কথা ভালো লাগে। ওকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে। ওর কথা ভেবে কষ্ট পেতে ভালো লাগে। বার বার আপুর বাসায় যেতে ইচ্ছে করে শুধুমাত্র ওকে একটিবার দেখার জন্য, ওর মুখের একটি কথা শোনার জন্য।

যেই আমি সপ্তাহে, মাসে একবার যেতাম আপুর বাসায়, সেই আমি প্রায়ই যাওয়া শুরু করি ওর কারণেই। অবশেষে বুঝতে পারি, মিতি নামের কোমল মনের এই মেয়েটিকে ভালোবেসে ফেলেছে আমার এই মনটা।

#
নাহ, আর সহ্য করতে পারছি না আমি। আমাকে যেতে হবে মিতির কাছে। বলতে হবে আমার মনের কথাগুলো।

পরের দিন সকালেই উপস্থিত হয় আপুর বাসায়। আপা দরজা খোলে। মনে মনে আমি খুঁজি আমার মিতিকে। কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে ওকে দেখতে না পেয়ে আপুকে জিজ্ঞেস করেই ফেলি,

- বাসার অন্যরা কই?
: তোর ভাগ্নে-ভাগ্নি স্কুলে, আর তোর দুলাভাই মিতিকে নিয়ে কুমিল্লা গেছে। আজকে সন্ধ্যায় মিতির বিয়ে তো, তাই।

বুকটা ধড়াস করে ওঠে আমার। এ আমি কী শুনছি! আমার মিতির বিয়ে, আরেকজনের সাথে?

: মিতির বাবা ওর বিয়ে ঠিক করেছেন। জানিসই তো ওর পায়ে একটু সমস্যা। এর জন্য পাত্রপক্ষ যৌতুক দাবি করে। এর আগেও কয়েকবার ওর বিয়ে ভেঙে গেছে শুধুমাত্র এই কারণেই। মেয়েটার অনেক কষ্ট রে!

পায়ের নিচ থেকে যেন মাটি সরে যায় আমার। বুকটার মাঝে কেমন যেন করতে থাকে। হঠাৎ রোখ চেপে যায় আমার।
"না, এ আমি কিছুতেই হতে দিতে পারি না। আমার ভালোবাসাকে আমি অন্যর হাতে তুলে দিতে পারি না।"

আপুর কাছ থেকে ঠিকানাটা নিয়ে চলে যাই বাস স্টেশনে। লোকজনকে জিজ্ঞেস করে বারই খুঁজে বের করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। এসে দেখি, সব শেষ। রঙিন কাগজ দিয়ে মোড়ানো কলাগাছের গেট খুলে ফেলা হচ্ছে। পুরো বাড়ি নিশ্চুপ। হতাশ হয়ে বসে পড়ি আমি মাটিতে। বুক ফেটে কান্না আসছে আমার। প্রবল আক্রোশে ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো করে ফেলতে ইচ্ছে করছে সবকিছু।

কিন্তু কিছুই করি না আমি। বোবার মতো এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি অন্ধকারের দিকে।

- ভাই, আপনে কেডা?

কার ডাকে যেন ঘোর ভাঙে আমার।

: কীরে, জব্বার, কে?

- কইতে পারি না। কেডা জানি বইসা আছে এইহানে। আগে দেহি নাই।

কেউ একজন আলো হাতে এগিয়ে আসে আমার দিকে। আমার দুলাভাই।

: আরে তূর্য, তুমি? তুমি এখানে কীভাবে? এসো, ভেতরে এসো। তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেন? কী হয়েছে তোমার?

কোনমতে দুলাভাইয়ের পেছন পেছন ঘরে ঢুকি আমি। কিন্তু হঠাৎ-ই কান্নাই ভেঙে পড়েন তিনি।

: কেন আমার বোনটার এমন হল, তূর্য? বলতে পার? কেন ওর কপালে এত দুঃখ?

চমকে উঠি আমি।

- কী হয়েছে দুলাভাই?
: আমার বোনটার আবার কপাল পুড়েছে। আবারও বিয়েটা ভেঙে গেছে ওর।

দুলাভাই কাঁদতে থাকেন। আর আমি দেখি আশার আলো। কোনমতে বলি,

- মিতি কোথায়?
: ওইতো, ওই ঘরেই আছে। কাঁদছে একা একা।

আর কোন কথা না বলে সোজা ওই ঘরে ঢুকি আমি। আমাকে দেখে চমকে তাকায় মিতি। চোখ ফোলা, লাল। কাঁদছিল ও। আমি এগিয়ে যাই ওর দিকে। কথা না বাড়িয়ে বলে ফেলি আমার মনের গোপন কথাগুলো।

"জানি না, তোমাকে ভালোবাসার যোগ্যতা আমার আছে কিনা। কিন্তু তুমি বিশ্বাস কর, ভালোবাসা শব্দটার মানে আমি তোমার কাছ থেকেই শিখেছি। শুধুমাত্র তোমাকেই ভালোবেসেছি। তোমাকে আমি ভালোবাসি। অনেক ভালোবাসি। তুমি কি সারা জীবনের জন্য আমার হবে?"

আমার দিকে কিছুক্ষণ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে মিতি। তারপর কিছু বোঝার আগেই জড়িয়ে ধরে আমাকে। কাঁদতে শুরু করে। আমিও আমার বুকের মাঝে শক্ত করে চেপে ধরি ওকে। লুকিয়ে রাখি আমার মাঝে, আমার মিতিকে, আমার ভালোবাসার মানুষটিকে। আর মনে মনে ভাবি,

"তুই ঠিকই বলেছিলিরে পিয়াল। ভালোবাসার আসলেই কোন জাত নেই, কাল-ফর্সা ভেদাভেদ নেই। ভালোবাসায় স্থান নেই কোন শারীরিক ত্রুটির। ভালোবাসার জন্য শুধুমাত্র একটা সুন্দর মনই যথেষ্ট।"


--- অধরানিউ ইয়র্ক থেকে

1 comment: