-“Cofui,Madam” (কফি,ম্যাডাম)
-“ Arigato Gozaimas” (অসংখ্য ধন্যবাদ)
ধোঁয়া ওঠা কফির মগটার দিকে অনেকটা মোহাচ্ছন্ন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে নিনিতা।গরম কফি সে একেবারেই মুখে দিতে পারে না।অপেক্ষা করতে থাকে,কখন কফি ঠান্ডা হবে তারপর গলা ভেজানোর পালা!হঠাৎই ফ্ল্যাশব্যাক-চার বছর পেছনে চলে যায় এক মুহূর্তে...
এমনই এক শীতের সন্ধ্যায় কফির মগের দিকে তাকিয়ে সাত-পাঁচ ভাবতে থাকা,মাথায় ঘুরতে থাকা আইডিয়াগুলো ইলাস্ট্রেটরে কপি পেস্ট...এবং বিদেশী কফিশপের লোগো তৈরীর প্রতিযোগীতায় জিতে বন্ধুমহলে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পাওয়া...নিনিতার মুখে সুক্ষ হাসি ফুটে ওঠে,আনন্দ আর আত্মতৃপ্তি মেশানো হাসি।সেটাই ছিলো শুরু,এরপর আর পেছনে ফিরতে হয়নি তার-নিজের চেষ্টা আর অধ্যবসায়ে আজ সে স্থপতি ও তুখোড় গ্রাফিক্স ডিজাইনার।মগটাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলল,
“অচাম শালা! গুড জব! এবার তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হ ভাই...!”
নিনিতার বাংলা বলার সঙ্গী এখন এগুলোই-প্লেট,বাটি,রাইস কুকার থেকে শুরু করে ল্যাপটপ,সবার সাথে বাংলায় বাতচিত করে,রান্নার ফাঁকে গুনগুনিয়ে গেয়ে ওঠে,
“আমার বেলা যে যায়,সাঁঝবেলাতে
তোমার সুরে-সুরে সুর মেলাতে”...
রবীন্দ্রসংগীত আজীবনই তার কাছে বিস্ময়! এককালে গানের খুব চর্চাও করা হত।এখন গুনগুনেই সীমাবদ্ধ।তবে এখনও মাঝেমধ্যে গাওয়া হয় বন্ধুদের আড্ডায়,ভিনদেশী বন্ধুগুলো অর্থের কিছুই হয়তো বোঝেনা কিন্তু সুরে ঠিকই আন্দোলিত হয়...গানশেষে গায়িকার উচ্ছসিত প্রসংসায় মেতে ওঠে!
অবশেষে একটা চুমুক দিতে পারে নিনিতা।অবশ্য তার কোন তাড়া নেই,আয়েশী ভঙ্গীতে জানালার দিকে দৃষ্টি ফেরায়।আজ ২৪ ডিসেম্বর,সন্ধ্যা নামতে না নামতেই রাস্তাঘাট বড়দিনের আলোয় আলোকিত।জীবনে প্রথম বড়দিনে এত আড়ম্বর দেখছে সে...এখানে তো আর ঈদ পুঁজো বলে কিছু নেই,বড়দিনের এই লম্বা ছুটিটাই ভরসা।পুরো শহরটা এতো সুন্দর করে সাজানো!নিনিতা শুধুই ঘুরে ঘুরে দেখছে আর ছবির পর ছবি তুলছে।একাই বেরিয়েছে,বন্ধুদের জন্য অপেক্ষা করার সময় কোথায় তার?অবশ্য বন্ধুরা তো দেখে অভ্যস্ত,এতো আলো,এতো আয়োজন নিনিতার অনভ্যস্ত চোখে নেশা ধরিয়ে দিচ্ছে...
এরই মধ্যে অল্পসল্প তুষার পড়া শুরু হয়ে গেছে।প্রমাদ গুনলো সে... “তুষার ভাই,যা পড়ার এখনি পড়,পইড়া হাত পা ভাঙ্গ মাগার রাতে ডিস্টার্ব দিস না-ভালো হবে না কিন্তু!”
একটু জোরে জোরেই বলে,কী আর হবে কেউ বুঝবে না,কেউ পাগলীও বলবে না...যেমনটা একবার বলেছিলো শুভ।
দেশের একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য অনুষদে ভর্তি হয় নিনিতা,সেও সাত-আট বছর আগের ঘটনা।স্বাস্থ্য পরীক্ষার দিন লিফটের দরজা খোলার পরপরই প্রথম যে ছেলেটির দিকে চোখ পড়ে তার,সেই শুভ।আর্মিছাট চুল,ক্লিনশেভড চেহারার সাথে ধোপদুরস্থ শার্টটা নিখঁতভাবে ইন করে পরা শুভকে দেখে নিনিতার ফার্স্ট ইম্প্রেশন,
“ব্যাটা,তুই স্বাস্থ্য পরীক্ষা দিবি না পাত্রী-চাই বিজ্ঞাপনের ভাইভা??”
একাডেমিক বিল্ডিং থেকে হসপিটালে যাবার সময় পেছনে একটা পুরুষকন্ঠে শুনতে পায়, “আম্মু,চলো ডাকছে ওখানে”...পেছনে তাকিয়ে দেখে আর কেউ নয়,সেই কেতাদুরস্থ ছেলেটা!এবার বেশ বিরক্ত হয় নিনিতা,ফিসফিসিয়ে বলে ওঠে,”ওভার-গ্রউন বাচ্চা কোথাকার!”
ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে এমন লুতুপুতু স্বভাব ওর বরাবরই অপছন্দের।তাই প্রথম ক্লাসের দিন যখন দেখলো সেই “ওভার-গ্রউন বাচ্চা”টিই ওর পাশের টেবিলে,বিরক্তিতে কিছুক্ষন চুপ করে থাকলো সে।মনে মনে বললো, “দাঁড়াও বাঁছা,তোমারে ডোজ দিতেছি!”
ডোজ সত্যিই দিতে পেরেছিলো নিনিতা, “আম্মু”র লুতুপুতু শুভ নিনিতার বকা খেয়ে কিছুদিনের মধ্যেই সোজা হয়ে গেলো...গাড়ী ছাড়া,আম্মু ছাড়া একা চলতে শিখলো।বাসার “হুলোবেড়ালী” জীবন (নিনিতার মতে,শুভর জীবনটা দুধ-মাছ খাইয়ে পোষা হুলোবেড়ালের মতো!) ছেড়ে হলের ছন্নছাড়া জীবনে অভ্যস্ত হলো।পোষাক-আষাকের ভারিক্কী ভাবটাতো গেলোই,প্রজেক্ট জমার আগের কদিন নাওয়া খাওয়া ঘুম শেভ ছেড়ে দেবার ফলে জমার দিন বনমানুষের বেশে শুভকে দেখে অনেক পরিচিত মানুষও ঠিক মেলাতে পারতো না!
একটা সময় পুরো ডিপার্টমেন্ট দাঁপিয়ে বেড়ানো হয়ে উঠলো তার নিত্যকার কাজ।ক্লাসের “ভন্ডকবি আসিফ” (তার আসল নামটা নিনিতা ভুলতে বসেছে, ফেসবুকে নিজের দেওয়া নামেই সে সর্বাধিক পরিচিত) শুভকে নিয়ে কবিতা লিখলো,
“আমাদের শুভ পাগলা
উড়াধুড়া ডিজাইনে যার মাথায় করে ঘাপলা”
এই “বাঘ” শুভ নিনিতার কাছে চিরটাকাল হুলোবেড়াল হয়েই রইলো।শুভকে সে কবে শুভ নামে ডেকেছে নিজেও বলতে পারবে না,সবার শুভ হাসান নিনিতার কাছে “অশুভ হাসান”!অবশ্য সবসময় “অশুভ” সম্বোধন শুনেও শুভ কোনদিন প্রতিবাদ করেনি,পৃথিবীতে মায়ের পর একটা মেয়েকেই যমের মত ভয় করে...সে এই নিনিতা।সে হয়ে ওঠে নিনিতার বাধ্যগত ছায়া-একটা নির্দিষ্ট দুরত্ত বজায় রাখলেও সাথেই থাকে সবসময়।
পাঁচ বছরের আর্কি“টর্চার” কোর্স শেষে বেশ ভালো রেসাল্ট নিয়ে বের হলো শুভ,নিনিতা এবং তাদের সহপাঠী তরুণ স্থপতিরা।রেসাল্টের দিন সবাই একত্রিত হলো,সবার চোখেমুখে বিষাদ।এতোদিনের একসাথে পথচলার ইতি ঘটলো আজ,এখন থেকে যার যার চলার পথ আলাদা।কেউ জানেনা কার গন্তব্য কোথায়,তবু ছুটে চলা নিরন্তর...
স্বপ্নাচারী নিনিতার ইচ্ছেটা ছিলো অন্যরকম,সে অনেক বড় স্থপতি হতে চায়...লুই কান,রেনজো পিয়ানো,জাহা হাদীদদের একজন হতে চায়!অনেক সাধনা করে যোগাড় করে ফেললো সোনার হরিণ স্কলারশীপ।বাবা-মা’র বিয়ে দেবার ইচ্ছাকে অনেকটা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেই চঞ্চল, অবাধ্য মেয়েটি চলে এলো স্বপ্ন কুঁড়াতে...
জাপান...সূর্যোদয়ের দেশ,স্থপতি-গুরু তাদাও আনদো’র দেশ...
এয়ারপোর্টে দৌড়াতে দৌড়াতে এসেছিলো শুভ।ওকে দেখে কেন যেন সকল সংযমের বাঁধ হারিয়ে ফেললো নিনিতা,পাগলের মত কাঁদতে কাঁদতে বললো, “আমি তো এখন আর বকা দিতে পারবো না,খুব ভালো থাকবি আমাকে ছেড়ে তাই না অশুভ?”
অসম্ভব সাহসের কাজ করেছিলো শুভ সেদিন,নিনিতার হাত ধরে বলে উঠেছিলো, “পাগলী তোকে......”
বাকীটা আর শুনতে পায়নি নিনিতা,তখনি ডাক পড়লো প্লেনে ওঠার।
আজ এতোদিন পর নিনিতার হঠাৎ মনে হয়,শুভ আসলে কী বলতে চেয়েছিলো?এদেশে এসে বাবা মা ছাড়া কারো সাথে তেমন যোগাযোগ হয়নি।সময় যেমন পায়নি তেমনি ফোনে খরচ অত্যাধিক।ফেসবুকেও তেমন বসা হয়না...বসলেও শুভকে তেমন পায়না।আচ্ছা,কেমন আছে অশুভটা?
“Ninitaaa!!….Konnichiwa!” (নিনিতা,শুভসন্ধ্যা)
একরাশ উচ্ছসিত কন্ঠে নিনিতার ধ্যান ভাঙ্গে।ততক্ষনে তার চারপাশ জাপানী বন্ধুরা ঘিরে ফেলেছে।কোনো বাঙ্গালী সহপাঠী পায়নি তাতে কী?অসম্ভব বন্ধুবৎসল নিনিতা মাত্র ছয়মাসের প্রবাসজীবনেই পেয়েছে অসাধারণ পাঁচটি জাপানী বন্ধু...অবশ্য এর পেছনে তার জাপানী ভাষায় দক্ষতার অবদানটিও উল্লেখযোগ্য। জর্জ,কেইকো,ইয়ুমি,হিরো,সাবুরো,নিনিতা...এই ছয়জনকে ঘিরে যেন “কফিহাউজের সেই আড্ডা”টা আবার জমে ওঠে!
আড্ডার এক পর্যায়ে নিনিতা জানতে পারলো,সাবুরো ছাড়া কেউই আজ সারা রাত থাকতে পারবেনা।ইয়ুমি আর হিরোর বাড়িতে অনুষ্ঠান,সুতরাং আটকা।জর্জ যাচ্ছে কানাগাওয়ায় তার দাদুবাড়িতে।কেইকোর শরীর বেশী ভালো না,রাতে ঠান্ডায় বাইরে থাকাটা খুব ভুল কাজ হবে।জর্জের কাজ থাক আর না থাক সে দিনের বেশীরভাগ সময় নিনিতার সাথেই থাকে।ওরা কাজ করছে একই প্রজেক্টে।প্রথমে একটু মন খারাপ হলেও পরে সাবুরো থাকবে শুনে আশ্বস্ত হয়।
সাবুরোকে নিনিতা সাবু ডাকে। লালচুলো,ছয় ফিট তিন ইঞ্চি লম্বা এই ছেলেটাকে দেখলে কেনো যেন চাচা চৌধুরীর সাবুর কথা মনে পড়ে ওর।তখন নিজের অজান্তেই হাসতে থাকে।এবং সাবুর প্রতিক্রিয়া,
“baga!!” (বোকা!)
এবং কেনো যেন সাবুর মুখে “বোকা” শুনলে ওর শুভর “পাগলী” কথাটি মনে পড়ে যায়...
ডিনার শেষে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সাবু আর নিনিতা হাঁটতে থাকে।দুজনই ফটোগ্রাফি-ফ্রিক,তাই জমে ভালো।আরো একটা ব্যাপার নিনিতা খেয়াল করে,অন্যদের তুলনায় সাবুর সামনে সে বেশী সহজ,স্বাভাবিক বোধ করে।সাবুও তাই।সাবুর সাথে ও শুভর মিল পায়...তবে একটাই অমিল,শুভ ওকে সহজে সবকিছু বলতো না,ভয় পেতো।
সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে নিনিতা এগুতে থাকে।সাবুর সরল হাসি,চপলতা কেন যেন ওকে মোহাবিষ্ট করে দিচ্ছে আজ।কারণটা কী ক্রিসমাস ঈভের মায়াবী পরিবেশ?মনে মনে বলে ওঠে,“নিনিতা,মাথা ঠান্ডা রাখ”!
কিন্ত কী মনে করে আবার তাকায় সাবুর দিকে।খুব মনোযোগ দিয়ে ডেকোরেশনের ছবি তুলছে।আচ্ছা শুভও কি ঠিক একইভাবে বসে ছবি তুলতো...ছবি তুলে কাছে এসে বলতো,“দোস্ত,দেখতো কেমন হইছে?”
“নিনিতা,কেমন হলো বলোতো?”
বাস্তবে ফিরে আসে সে।তাকিয়ে দেখে,সাবু ক্যামেরা বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে...নিকন ডি-নাইনটি,শুভও একই ক্যামেরা ব্যবহার করতো।পার্থক্য একটাই-সাবুর এই সাবলীল হাসিটা কখনো ছিলোনা শুভর মুখে,ওখানে থাকতো ভয়ের ছাপ…যেন ছবি ভালো না হলে নিনিতা তার দামী ক্যামেরাটা তারই মাথার ওপর ভাঙবে!
কিন্তু সে কথাই বা নিনিতার মনে হচ্ছে কেন?তাহলে কী সে শুভর মুখেও এই হাসিটা আশা করতো?প্রতিনিয়ত সাবুর মধ্যে সে শুভকে খুঁজে বেড়ায়...কেন যেন তার মনে হতে থাকে,শুভকে হয়তো সে এই রূপেই চেয়েছিলো...
রাত বাড়তে থাকে,পুরোনো সমস্ত স্মৃতি এক এক করে মনে পড়তে থাকে...আর আসস্তিতে পড়তে থাকে নিনিতা।কেনো সমস্ত স্মৃতি আজ এতোদিন পর নাড়া দিয়ে যাচ্ছে তাকে?ভেবে কুল পায়না সে।
হাঁটতে হাঁটতে একটা চার্চের সামনে চলে এলো ওরা।একটু পরই বারোটা বাজবে,নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হবে বড়দিন।নিনিতা একটু স্বাভাবিক হয়।সামনে ক্যারল গাইছে একদল ছেলেমেয়ে,তার সামনে বেশ বড় জটলা।আস্তে আস্তে সেদিকে এগুতে থাকে সে...
“সাবু...”
পাশে তাকিয়ে সাবুকে ডাকলো সে।কিন্তু সাবু সেখানে নেই।ডান,বাম,সামনে,পেছনে...না,কোথাও নেই!নিনিতা এখনো রাস্তাঘাট সব চেনে না।সে একটু চিন্তায় পড়ে গেলো।আরও কয়েকবার ডাকলো,
“সাবু...কোথায় তুমি?”
উত্তর নেই,থাকবে কী করে,এত শব্দের ভেতর সে নিজের গলা নিজেই ঠিকমত শুনতে পাচ্ছে না!
তাড়াতাড়ি ব্যাগ খুলে সেলফোন বের করলো।এবং তাকে চূড়ান্ত হতাশ করে সেলফোন জানান দিলো,
“ব্যাটারি শেষ!”
কী করবে বুঝে উঠতে পারলোনা নিনিতা।আগত্য ভীড়ের ভেতর থেকে বের হয়ে আবার চিৎকার করে উঠলো, “সাবুউউউ...”
হঠাৎ হাতে একটা ঠান্ডা স্পর্শ...ঘুরে তাকালো নিনিতা।সাবু দাঁড়িয়ে আছে,হাসছে!
খুব অভিমান হলো ওর, “আমাকে এই ভীড়ে একা ফেলে তুমি চলে যেতে পারলে সাবু?তুমি জানো না আমি টোকিয়োর রাস্তাঘাট সব চিনি না?”
সাবু ওর হাত ধরে,হাসতে হাসতে বলে,
“বোকা!তোমাকে একা ফেলে রেখে দূরে সরে গিয়ে আমি কী শান্তিতে থাকতে পারি?”
নিনিতা একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে...হঠাৎ যেন সবকিছু নীরব হয়ে যায়।হযরত শাহজালাল (রঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মুখমুখী দাঁড়িয়ে নিনিতা আর শুভ।নিনিতার হাত ধরে আছে শুভ,ওর অশ্রুসজল চোখে চোখ রেখে সে বলে ওঠে,
“পাগলী!তোকে একা ফেলে রেখে দূরে সরে গিয়ে আমি কী শান্তিতে থাকতে পারি?”
ঝাপসা চোখে কিছুই স্পষ্ট দেখতে পায় না,তবুও সাবুর ধরে রাখা হাতের নির্ভরতায় নিনিতা এগুতে থাকে।অনমনে বলে ওঠে,
“অশুভ,তুই কী তবে সেদিন এমন কোন কথাই বলতে চেয়েছিলি যা আমি সবসময় শুনতে চেয়েছি?”
-অতন্দ্রিলা
Facebook id- Otondirla Winsome



Dhaka Time
Amon keno hoy cau ki bolte paren kub case teke amra ja bolte cai kintu kokhono e ta pari na kintu keno !!!
ReplyDeleteAmon sudor akta valobasha ke prithibir sob kishur bini moy holy o dore rakha jay...
ReplyDelete